ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা মর্গ্যানের
অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রেভর মর্গ্যান। টানা ব্যর্থতার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাহেব কোচ। মর্গ্যান নিজে সরে দাঁড়ানোয় লালহলুদ তাঁবুতেও যেন স্বস্তির হাওয়া।
ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রেভর মর্গ্যান। টানা ব্যর্থতার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাহেব কোচ। মর্গ্যান নিজে সরে দাঁড়ানোয় লালহলুদ তাঁবুতেও যেন স্বস্তির হাওয়া।
আই লিগ আসেনি বটে। তবে অবশেষে জিতলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার। ট্রেভর জেমস মরগ্যানকে সরাতে সফল হলেন লাল-হলুদ সচিব। আই লিগে টানা ব্যর্থতার পর সরে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ কোচ। এবার ডার্বির আগে থেকেই মরগ্যানকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন লাল-হলুদ সচিব। ডার্বি হারের পর তার সঙ্গে যোগ হয় অসহযোগিতা। ক্রমাগত সমালোচনা তো চলছিলই, শুক্রবার সকালে সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাহেব কোচকে। কার্যত ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন সাহেব কোচ। রবিবার DSK শিবাজিয়ান্সের কাছে হেরে আই লিগের খেতাবি দৌড় থেকে সরকারিভাবে ছিটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। চাপ আরও বাড়তে থাকে মর্গ্যানের উপর। শোনা যাচ্ছে রবিবার রাতে লাল-হলুদ সমর্থকদের সংগঠিত বিক্ষোভ নাকি পৌছে যায় সাহেব কোচের বাড়িতেও। তারপরই নাকি কর্তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ইতি টেনে দেন মর্গ্যান।
ক্লাবের পরিচিত কয়েকজন কর্তাকে জানিয়েও দেন যে তার পক্ষে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেইমতই সোমবার ক্লাবকে ইমেল পাঠিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দেন মরগ্যান। ক্লাবকে সাহেব কোচ বলেন তার পাওনা যেন দিয়ে দেওয়া হয়। পদত্যাগের কথা দলের ফুটবলারদের বা গোলকিপার কোচ অভিজিত মন্ডলকেও জানাননি মর্গ্যান। একটা সময় নয় ম্যাচে একুশ পয়েন্ট পেয়ে আই লিগ শীর্ষে ছিল মরগ্যানের লাল-হলুদ। পরের সাত ম্যাচে বুকেনা-রা পেয়েছেন মাত্র ছয় পয়েন্ট। তাই আই লিগের দ্বিতীয় পর্বে মরগ্যান ব্রিগেডের ব্যর্থতাটা রহস্যই থেকে গেল। যা ফেলু মিত্রও ভেদ করতে পারবেন কিনা,তা নিয়ে সংশয় থাকছে। তবে মরগ্যান যে ইস্টবেঙ্গলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হলেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।