শতবর্ষে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে জীবনকৃতী সম্মান দেওয়ার ভাবনা ইস্টবেঙ্গলের
সুশোভন মুখোপাধ্যায়
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে শতবর্ষের অনুষ্ঠান যেন শুরু হয়ে গেল পয়লা বৈশাখেই। বিশিষ্ট পরিচালক গৌতম ঘোষের পরিচালনায় শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তথ্য চিত্র তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিচালক অসুস্থ থাকায় সোমবার সশরীরে হাজির না থাকলেও তাঁর টিমের লোকজন হাজির ছিলেন। শতবর্ষের কথা মাথায় রেখেও ঢেলে দল সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাব-ইনভেস্টরদের। কলকাতা লিগ জয় দিয়েই শতবর্ষে ট্রফি জয়ের সূচনা করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
পয়লা অগাস্ট থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শতবর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে ইস্টবেঙ্গলে। বছরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে লাল-হলুদ কর্তাদের। তেমনই শতবর্ষে ক্লাবের দুই প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে জীবনকৃতী সম্মান দেওয়ার ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ফোনে জানান, "মনোরঞ্জন আর ভাস্করের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ, ওরা খেলোয়াড়ি জীবনে খেলে সাফল্য দিয়েছে ক্লাবকে। আর্থিক দিক থেকেও কখনও সমস্যা হয়নি। হয়তো আর্থিক দিক থেকে বহু খেলোয়াড়ই আছে যাদের নিয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু অন্যতম ভাস্কর-মনা। আর তারা খেলোয়াড়ি জীবন ছেড়ে দেওয়ার পরেও তারা যেভাবে আমাদের ক্লাবকে সার্ভিস দিয়েছে, দিয়ে যাচ্ছে তার জন্য আমরা বিবেচিত করবার চেষ্টা করছি। যেমন ৮০ সালে মনা (মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য) পিলার হয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাব টিমটাকে বাঁচিয়েছিল। বিরাশি সালে ভাস্কর গাঙ্গুলি এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবং ভাস্কর খেলোয়াড়ি জীবনেও ক্লাবকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বহুবার মুক্ত করেছে।যার জন্য এইসব কথা ভেবে, ওদেরকেই শতবর্ষে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন - ICC World Cup 2019: পন্থের তুলনায় রায়াডুর সুযোগ না পাওয়া নিয়ে বেশি বিতর্ক হবে বললেন গম্ভীর