Mohammad Hafeez: গদ্দাফি স্টেডিয়ামের পর এবার মহম্মদ হাফিজের বাড়িতেও চুরি! ফের কলঙ্কিত পাক ক্রিকেট
চুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন করে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেক টাকা দিয়েছে স্থানীয় পঞ্জাব সরকার। তাদের দাবি ছিল, বাকি টাকা মেটাতে হবে পাকিস্তান সুপার লিগের আয়োজক পাক বোর্ডকেই। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ বোর্ড।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ হাফিজের (Mohammad Hafeez ) বাড়িতে চুরি হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে বলেই খবর। যে সময়ে চুরি হয়েছে, তখন হাফিজ ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার হাফিজের শ্বশুর পুলিসে এফআইআর করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পাকিস্তান সুপার লিগে (Pakistan Super League) কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের ( Quetta Gladiators) হয়ে খেলছেন হাফিজ। সেই কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে হাফিজ রয়েছেন ইসলামাবাদে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নেয় চোর। হাফিজের বাড়িতে ঢুকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় চোর।
কয়েক দিন আগে লাহোরের (Lahore) গদ্দাফি স্টেডিয়াম (Gaddafi Stadium) থেকে একসঙ্গে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা চুরি হয়েছিল। একইসঙ্গে স্টেডিয়াম থেকে উধাও হয়েছিল বেশ কয়েকটি জেনারেটরের ব্যাটারিও। এছাড়াও আরও কয়েকটি দামি জিনিস চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিস। একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, মোট আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা, ক্যামেরার সঙ্গে ব্যবহৃত তার, জেনারেটরের ব্যাটারি- সবকিছুই চুরি গিয়েছে গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে। চোরদের বিরুদ্ধে স্থানীয় গুলবার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
চুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন করে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে অর্ধেক টাকা দিয়েছে স্থানীয় পঞ্জাব সরকার। তাদের দাবি ছিল, বাকি টাকা মেটাতে হবে পাকিস্তান সুপার লিগের আয়োজক পাক বোর্ডকেই। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ বোর্ড। এহেন পরিস্থিতিতেই চোর ধরতে ব্যবহৃত সিসিটিভিই উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কলঙ্কিত পাক ক্রিকেট! চুরি হল লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা
জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া মোট সামগ্রীর মূল্য পাক মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এখন প্রবল বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তাই চুরি করা জেনারেটর চড়া দামে বিক্রি হতে পারে বলেই অনুমান। তবে স্টেডিয়ামের বাইরের সিসিটিভি থেকে চোরদের পালাতে দেখা গিয়েছে। যদিও তাতে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি। এহেন পরিস্থিতিতে গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে পিএসএল-এর ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতির জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই দেশের অর্থনীতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ২৭.৫৫ শতাংশে। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অবস্থায় নাভিশ্বাস আমজনতার। প্যাকেটজাত নয় এমন দুধের লিটার প্রতি দাম পৌঁছে গিয়েছে ২১০ পাকিস্তানি টাকায়। অন্যদিকে গোটা মুরগির দাম পৌঁছেছে প্রায় ৫০০ পাকিস্তানি টাকায়। আর কাটা মুরগির কেজি প্রতি মূল্য কোথাও কোথাও ৮০০ ছুঁই ছুঁই!সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। অনেকের মতে সেইজন্য চুরিও বাড়ছে।