নাদালের মঞ্চে জল ঢেলে চ্যাম্পিয়ন ফেডেরারের দেশের নতুন মহাতারকা ওয়ারিঙ্কা
একেই বলে হয়তো শেষ রাতে অঘটন। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটল একেবারে শেষ দিনে ফাইনাল ম্যাচে। রজার ফেডেরার যেটা পারেননি। সেটাই করে দেখালেন তাঁর স্বদেশীয় স্ট্যানিস্লাস ওয়ারিঙ্কা। সব হিসাবে উল্টে অসি ওপেনের ফাইনালে হট ফেভারিট রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে খেতাব জিতলেন সুইত্জারল্যান্ডের ওয়ারিঙ্কা।
-------------------------------------------------------------
একেই বলে হয়তো শেষ রাতে অঘটন। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটল একেবারে শেষ দিনে ফাইনাল ম্যাচে। সেমিফাইনালে রজার ফেডেরার যেটা পারেননি। সেটাই ফাইনালে করে দেখালেন তাঁর স্বদেশীয় স্ট্যানিস্লাস ওয়ারিঙ্কা। সব হিসাবে উল্টে অসি ওপেনের ফাইনালে হট ফেভারিট রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে খেতাব জিতলেন সুইত্জারল্যান্ডের ওয়ারিঙ্কা।
বিশ্বের এক নম্বর নাদালকে হারিয়ে অনেক রেকর্ড রুখে দিলেন ওয়ারিঙ্কা। ফেডেরারের দেশের দু নম্বর খেলোয়াড় ফাইনালে জিতলেন ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩।
নাদালের বিরুদ্ধে এর আগে মোট ১২ বার খেলেছিলেন ওয়ারিঙ্কা। ম্যাচ তো দূরের কথা একটা সেটও জিততে পারেননি ওয়ারিঙ্কা। কিন্তু আনলাকি নম্বর ১৩-তে এসে বাজিমাত করলেন চেন্নাই ওপেন জয়ী এই সুইস। জিতলেন জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। বিগ ফোর ( জোকোভিচ, নাদাল, ফেডেরার, মারে) -এর বাইরে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম কোন টেনিস খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন। ২০০৯ সালে ইউএস ওপেন জেতেন আর্জেন্টিনার হুয়ান মার্টিন দেলপোর্ত। তারপর গ্র্যান্ড স্লাম মানেই বিগ ফোর-এর সম্পত্তি। হয় জকোভিচ, নাদাল কিংবা ফেডেরার বা হয়তো অ্যান্ডি মারে খেতাব জিতেছেন। ২০১৪ এসে শুরু এবার সেই হিসাব ভেঙে দিলেন ২৮ বছরের সুইস ওয়ারিঙ্কা।
অথচ আজ মঞ্চের সব কিছু ছিল নাদালের জন্য সাজানো। অসি ওপেন জিতে ১৪টি গ্র্যান্ড স্লাম ঘরে তুলে এনে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে ফেলতেন নাদাল। কিন্তু না সব হিসাব উল্টে গেল।
ওয়ারিঙ্কা এবারের অসি ওপেনে শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচকে হারিয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে, সেমিফাইনালে হারিয়ে ছিলেন টমাস বার্ডিচকে। কিন্তু ফাইনালে এত বড় একটা অঘটন ঘটাবেন তা বোধহয় কেউ ভাবেননি। বরিস বেকারের মত প্রাক্তনরা তো বলেই দিয়েছিলেন ফেডেরারকে সেমিফাইনালে হারিয়েই কাপ নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন নাদাল। কিন্তু না, গুরু ফেডেরার যেটা পারেননি, সেটাই করলেন শিষ্য ওয়ারিঙ্কা। নাদালের চোটের পুরো ফায়দা তুললেন বিশ্বের আট নম্বর এই খেলোয়াড়।
চোটের ব্যথায় নাদাল কোর্টের মধ্যেই বারবার শুয়ে পড়ছিলেন। নিতে হয়েছিল মেডিক্যাল টাইম আউটও। তবু দুই সেট পিছিয়ে পড়ার পর একটা মরণকামড় দিয়েছিলেন তৃতীয় সেট জিতে। তবে সাবধানি ওয়ারিঙ্কা আর বেশী এগোতে দেননি নাদালকে। সেই সঙ্গে বিশ্ব দেখে ফেলল টেনিসের অন্যতমে সেরা অঘটন।