Sri Lankan social media ban, Sri Lanka's economic crisis: কেন রাষ্ট্রপতি Gotabaya Rajapaksa-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন Kumar Sangakkara?
বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি কার্যত রাজাপক্ষ সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। পদত্যাগের দাবিতে হাজার-হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান কিংবা কার্ফুতে বাস্তব সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। সেটা সমাধানের জন্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। দেশের ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে রাষ্ট্রপতি (President Of Sri Lanka) গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) বিরুদ্ধে এ ভাবেই মুখ খুললেন কুমার সাঙ্গাকারা (Kumar Sangakkara)। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়কের সাফ কথা, প্রকৃত সমস্যার সমাধান গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকার করছে না।
রবিবার দুপুরে কলম্বোর এক আজম আমিন সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন, 'শ্রীলঙ্কার প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে যে আজ দুপুর ৩ টে ৩০ মিনিট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।' সেই টুইটের প্রেক্ষিতে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট এবং হেড কোচ সাঙ্গাকারা বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা, কার্ফু বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে বাস্তব সমস্যার সমাধান হবে না। মানুষ যে ভাবে ভুগছেন এবং দেশে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সেটাই হল বাস্তবের জরুরি অবস্থা। যাঁরা এই সরকারকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা-সহ পুরো দেশই প্রকৃত সমাধানের দাবি জানাচ্ছে। সেটা কোথায়?'
No amount of social media bans, curfews or declaring emergencies will solve the real emergency that is the suffering of the people and the economic crisis. The whole country including the majority that voted the government in is asking for a real solution. Where is it ?
Kumar Sangakkara (@KumarSanga2) April 3, 2022
গত কয়েকদিন ধরে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার অগণিত সাধারণ মানুষ। আকাল দেখা দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীয় দাম লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখে পড়তে হয়নি দ্বীপপুঞ্জের এই দেশকে।
সেই পরিস্থিতিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি কার্যত রাজাপক্ষ সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। পদত্যাগের দাবিতে হাজার-হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। যা পরবর্তীতে হিংসাত্মক রূপ নেয়। দুটি সামরিক গাড়ি, পুলিশের জিপ, দুটি প্যাট্রোলিং মোটরসাইকেল এবং একটি তিনচাকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। কমপক্ষে দু'জন বিক্ষোভকারী আহত হন। পুলিশ জানিয়েছিল, ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাঁচজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ এবং সেনা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার রাতের দিকে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। জরুরি অবস্থার ঘোষণার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় কড়া আইন কার্যকর করেছেন গোতাবায়া, যে আইনের আওতায় বিচার ছাড়াই যে কোনও ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন আটকে বা গ্রেফতার করে রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হয় সেনাকে। সেইসঙ্গে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বিক্ষোভ ঠেকাতে ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেক্ষিতে এ বার দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন সঙ্গাকারা।
আরও পড়ুন: Andre Russel, IPL 2022: কেন ব্যাটে 'Danger Russ' শব্দ লিখলেন 'দ্রে রাস'? জানতে পড়ুন