Sandeep Lamichhane: কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে, এবার শ্রীঘরে নেপালের অধিনায়ক সন্দীপ লামিছানে
Sandeep Lamichhane: পার পেলেন না সন্দীপ লামিছানে। নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে সাত দিনের পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল কাঠমান্ডু আদালত। সোমবার জেলা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। লামিছানের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েক সপ্তাহ ধরে লুকোচুরি খেলার পর অবশেষে নেপাল পুলিসের (Nepal Police) জালে সন্দীপ লামিছানে (Sandeep Lamichane)। এক কিশোরীকে ধর্ষণের (Rape Case) মতো মারাত্মক অভিযোগ নেপাল ক্রিকেট দলের (Nepal Cricket Association) অধিনায়কের বিরুদ্ধে। তাই দেশে পা রাখতেই আইপিএল-এ (IPL) দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হয়ে খেলা সন্দীপকে গ্রেফতার করল পুলিস। তাঁকে আপাতত সাত দিনের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কাঠমান্ডু আদালত।
বিমানবন্দরে পা রাখার পরেই তাঁকে পুলিস নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ইতিমধ্য়েই নেপালের ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নির্বাসিত করেছে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করলেও এখনও তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। এবার আদালতের নির্দেশে পুলিস হেফাজত হল লেগ স্পিনারারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্য়ারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্য়স্ত থাকার সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাবিলাকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, নেপালের কাঠমাণ্ডুর কাছে একটি এলাকায় ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন সন্দীপ। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নেপালের জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
পুলিস সূত্রের খবর, ২২ অগস্ট নেপাল ক্রিকেট দলের কেনিয়া সফরের আগে লামিছানে ওই কিশোরীকে ভক্তপুরে ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিশোরী রাজি হন। রাতে ওই কিশোরী মধ্য বানেশ্বরে নিজের হোস্টেলে ফিরে যেতে চাইলেও লামিছানে বাধা দেন। হোস্টেল আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেলে লামিছানের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য হন ওই কিশোরী। প্রথমে তিনি আলাদা ঘরে থাকতে চান। সেটাও হতে দেননি লামিছানে। তার বদলে নিজের ঘরে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে দু’বার ধর্ষণ করেন।
দেশে ফেরার আগে সন্দীপ নিজের স্বপক্ষে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছিলেন,'আমি কোনও দোষ করিনি। নেপালের আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপাতত আমি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠেছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি দেশে ফিরে যাব। আশা করি সঠিকভাবে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে। কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ যেন না হয়।'
শেষ পর্যন্ত ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে ফেরার সন্দীপ লামিছানে গ্রেফতার করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে সাত দিনের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার কাঠমান্ডু জেলা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। পুলিস হেফাজতের শেষে ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।