Sachin Tendulkar at 49: 2011 World Cup জয়ের পর Master Blaster-এর প্রিয় গাড়ির অবস্থা কেমন হয়েছিল? জেনে নিন
সচিন গিন্নি আম জনতার সমুদ্র টপকে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। স্বামীকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। আর এরপরেই ঘটে যায় বিপত্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪৯ বছরে পা দিলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। এমন বিশেষ দিনে 'গড অফ ক্রিকেট'-এর কয়েকটা অজানা গল্পের দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
২৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে গড়েছেন অজস্র মাইলস্টোন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল স্বামীর ব্যাটিং মাত্র একবার দেখেছিলেন অঞ্জলি তেন্ডুলকর (Anjali Tendulkar)। তাও আবার সেটা ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের (Master Blaster) ২০০তম টেস্ট। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে দেখেছিলেন গৃহ কর্তার শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংস। এর চেয়েও চমকে দেওয়া তথ্য হল নিজের শহরে বিশ্বকাপ ফাইনাল (2011 World Cup) আয়োজিত হলেও, অঞ্জলি ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ওয়াংখেড়েমুখী হননি। শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে উড়িয়ে দেওয়ার পর, সচিন গিন্নি আম জনতার সমুদ্র টপকে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। স্বামীকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। আর এরপরেই ঘটে যায় বিপত্তি।
জানা যায় ওয়াংখেড়ের পার্কিং লটে গাড়ি রেখে অঞ্জলি সোজা চলে যান ভারতীয় দলের সাজঘরের দিকে। সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন। কিন্তু নতুন বিএমডাব্লু-র হাল বেহাল হয়ে গিয়েছিল। কাপ জয়ে বিভোর জনতা গাড়ির মালিকের নাম জানতেই বিএমডাব্লু-র ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিশ্বকাপজয়ী 'লোকাল বয়'কে কাছে না পেয়ে তাঁর গাড়িকে ঘিরেই চলেছিল উদ্দাম সেলিব্রেশন।
প্রিয় বিএমডাব্লু-র যে এমন অবস্থা হবে সেটা বুঝতেই পারেননি সচিন। কয়েক দিন পর সেই গাড়ি দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জেগে উঠেছিল। অঞ্জলিকে গিয়ে সটান প্রশ্ন করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, কেন প্রিয় গাড়িটি আপাদমস্তক নোংরা? অঞ্জলির জবাব ছিল, 'ভালবাসার অত্যাচারে বিএমডাব্লুকে চেনা যাচ্ছে না।' তবে সচিন রেগে যাননি। বরং খুশি হয়েছিলেন।
কারণ ২৮ বছর পর যে বিশ্বজয়ীদের কাছে সেই রাত এসেছিল।
আরও পড়ুন: Sachin Tendulkar at 49:বিয়ের কথা বাড়িতে বলতে পারেননি সচিন! অঞ্জলির কাঁধেই দিয়েছিলেন গুরুদায়িত্ব