R Ashwin | BGT 2023: নাগপুরে অশ্বিনের বলে বলে রেকর্ড! ভয়ংকর ঘূর্ণিতে প্রাক্তন-বর্তমানদের টেক্কা!
R Ashwin Grabs 31st Five-For to Help India Thrash Australia: অশ্বিন আবারও চিনিয়েছেন কেন তিনি আলাদা। ফের একবার তাঁর পাঁচ উইকেটে প্রতিপক্ষ দল ল্যাজে-গোবরে হয়েছে। এর সঙ্গেই অশ্বিন নাগপুরে একের পর এক রেকর্ড করেছেন। ভয়ংকর ঘূর্ণিতে প্রাক্তন-বর্তমানদের টেক্কা দিয়েছেন বলে বলে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ শুধু স্পিনের দিন! এ লগন স্পিন দেখানোর। ভারতীয় দল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy, BGT 2023) জিঙ্গলটা বানিয়েই ফেলল। প্রথমে রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja), পরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। সেই চেনা স্পিন জুজুতেই অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে গেল নাগপুরে। শনিবার সিনিয়র স্পিনার অশ্বিন দেখিয়ে দিলেন যে, কেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার কাছে আতঙ্ক। নাগপুর টেস্টে অশ্বিন দুই ইনিংস মিলিয়ে পেয়েছেন আট উইকেট। আর এদিন চেন্নাইয়ের স্পিনার তুলে নিয়েছেন একাই পাঁচ উইকেট। অশ্বিন তাঁর কেরিয়ারে ৩১তম টেস্ট ফাইফার নিলেন। যার মধ্যে ঘরের মাঠে ২৫ বার তিনি পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। এই নজিরে তিনি স্পর্শ করলেন আরেক কিংবদন্তি অনিল কুম্বলেকে (Anil Kumble)। যিনি খেলেছেন ১৯৯০-২০১৮ পর্যন্ত। ২০১১ থেকে অশ্বিন খেলছেন দেশের হয়ে লাল বলের ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটে সব চেয়ে বেশি ফাইফার নেওয়া বোলারদের তালিকায় অশ্বিন রয়েছেন সাত নম্বরে। অশ্বিন আর একটি ফাইফার নিলেই ব্রিটিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে স্পর্শ করবেন। যিনি পেয়েছেন ৩২বার পাঁচ উইকেট। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীথরন। যাঁর ঝুলিতে ৬৭টি ফাইফার রয়েছে।
আরও পড়ুন: BGT 2023: সেই অশ্বিন আতঙ্কেই শেষ অস্ট্রেলিয়া! বুক ফুলিয়ে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত
দেখে নেওয়া যাক ফাইফার নেওয়ার তালিকায় কে কোথায় আছেন:
১) শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলীধরন (১৯৯২-২০১০), ১৩৩ ম্যাচে ৮০০ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৬৭
২) অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (১৯৯২-২০০৭), ১৪৫ ম্যাচে ৭০৮ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৩৭
৩) নিউজিল্যান্ডের স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (১৯৭৩-১৯৯০), ৮৬ ম্যাচে ৪৩১ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৩৬
৪) ভারতের অনিল কুম্বলে (১৯৯০-২০০৮), ১৩২ ম্যাচে ৬১৯ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৩৫
৫) শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ (১৯৯৯-২০১৮), ৯৩ ম্যাচে ৪৩৩ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৩৪
৬) ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন (২০০৩-২০২২) ১৭৭ ম্যাচে ৬৭৫ উইকেট, ফাইফারের সংখ্যা ৩২
৭) ভারতের আর অশ্বিন (২০১১-২০২৩) ৮৯ ম্যাচে ৪৫৭ উইকেট, উইকেটের সংখ্যা ৩১
দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়া সেই স্পিন ও অশ্বিন আঁতঙ্কে কেঁপে গেলে। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া অশ্বিন দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববন্দিত টেস্ট ব্যাটিং লাইন-আপকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন অশ্বিন। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারের ধাঁধা বোঝার আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। একা কুম্ভ আগলে রাখছিলেন স্মিথ। সর্বোচ্চ স্কোরই তাঁর। দলের বাকি একজনও কুড়ির গণ্ডি টপকাতে পারেনি। কিন্তু অজিদের ভবিতব্য যে অশ্বিন লিখেই রেখেছিলেন। একাই নেন পাঁচ উইকেট। ফলে স্মিথ একা আর কত লড়াই করবেন। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো এদিন কাউকেই পাওয়া গেল না। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর (অপরাজিত ২৫) স্মিথেরই। আর একজন ব্যাটারও কুড়ির গণ্ডি টপকাতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে জাদেজা ও ছাপ রাখলেন। তুলে নিলেন দুই উইকেট। খাতা খুললেন অক্ষর প্যাটেলও। মহম্মদ শামিও পেলেন জোড়া উইকেট। ভারতের তারকা স্পিনার আর অশ্বিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিছকই স্পিনার নয়, আতঙ্কেরও আরেক নাম। এই অশ্বিনকে সামাল দেওয়ার জন্য কামিন্সরা 'ডুপ্লিকেট অশ্বিন'বা 'নকল অশ্বিন'কে নেটে এনে অনুশীলন সেরেছিলেন আলুরে। ২১ বছরের মহেশ পিঠিয়াকে খেলেছিলেন স্মিথরা। এই মহেশ বরোদার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। তাঁর বোলিং অ্যাকশন অবিকশ অশ্বিনের মতো। কিন্তু এসব করেও সেই অশ্বিন ঘূর্ণিতেই আটকে গেলেন কামিন্সরা।