মরগ্যানের চিন্তা ক্লান্তি, স্বস্তি ফর্ম
মাত্র দেড় ঘন্টার অনুশীলন। আর নব্বই মিনিটের অনুশীলন সেরেই মরগ্যান শেষ করলেন রবিবাসরীয় নব্বই মিনিট যুদ্ধের প্রস্তুতি। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে শিলিগুড়ি ও ভিয়েতনামে একেবারে পৃথক পরিবেশে ফুটবল খেলে এবার চিড্ডিদের অপেক্ষায় যুবভারতীর নৈশালোক। রণক্লান্ত লাল হলুদ যোদ্ধাদের চাঙ্গা রাখতে মরগ্যানের দাওয়াই হাল্কা অনুশীলন। পেন-ওপারারা নিজেদের মধ্যে বল কাড়াকাড়ি আর স্ট্রেচিং করে ড্রেসিংরুমমুখী হলেন।
মাত্র দেড় ঘন্টার অনুশীলন। আর নব্বই মিনিটের অনুশীলন সেরেই মরগ্যান শেষ করলেন রবিবাসরীয় নব্বই মিনিট যুদ্ধের প্রস্তুতি। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে শিলিগুড়ি ও ভিয়েতনামে একেবারে পৃথক পরিবেশে ফুটবল খেলে এবার চিড্ডিদের অপেক্ষায় যুবভারতীর নৈশালোক। রণক্লান্ত লাল হলুদ যোদ্ধাদের চাঙ্গা রাখতে মরগ্যানের দাওয়াই হাল্কা অনুশীলন। পেন-ওপারারা নিজেদের মধ্যে বল কাড়াকাড়ি আর স্ট্রেচিং করে ড্রেসিংরুমমুখী হলেন।
অফিস ম্যাচের জন্য মেহতাব না এলেও,রবিবাসরীয় ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের দায়িত্বে তিনি থাকবেন। সঙ্গী পেন,ডিকা ও সঞ্জু প্রধান। ডিফেন্সে গুরবিন্দর ও ওপারা। সাইগনের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলা গুরবিন্দর সিংয়ে এখন মুগ্ধ মরগ্যান। দুই ব্যাক খাবরা ও সৌমিক দে। ফরোয়ার্ডে চিডির সঙ্গী হিসেবে বলজিত বা রবিনের মধ্যে কোনও একজন।
ওডাফাকে সামলানোর জন্য তাঁর ছক নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মরগ্যান। বরং প্রতিপক্ষকে নিয়ে উত্তর দিতে অনীহাই প্রকাশ করলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ। ডার্বি ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইএফএ।ক্ষোভ রয়েছে মরগ্যানেরও। এই দম ফেলার ফুরসত না পাওয়া সূচি নিয়ে পুরানো কাঁসুন্দি ঘাটতে নারাজ কোচ। বিদ্রুপের সুরে বলছেন, একদিনের পরিবর্তে দুসপ্তাহ পিছিয়ে দিলে ভাল হত। পরমুহূর্তেই আবেগ চেপে রেখে মরগ্যান লক্ষ্যস্থির করছেন, রবিবারে ক্লাবের সম্মানের ম্যাচের দিকে।
নৈশালোকে খেললে এই গরমে দলের ফুটবলারদের সুবিধা হবে বলেই মনে করেন মরগ্যান। চলতি মরসুমে দুবার ডার্বি হয়েছে। যার মধ্যে একবার ভেস্তে গিয়েছে দর্শক হাঙ্গামায়। দ্বিতীয়বার আয়োজক মোহনবাগান টিকিটের দাম অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়ায় মাঠে দর্শক সংখ্যা একেবারেই ডার্বিসুলভ ছিলনা। এবার আইএফএ শিল্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে টিকিট বিক্রি থেকে শুরু করে দর্শক নিরাপত্তা সব দায়িত্বই রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার। টিকিট বিক্রির বর্তমান পরিস্থিতিতে যুবভারতী পরিপূর্ণ হওয়ারই পূর্বাভাস মিলছে। আর এখানেই গত দুটি ডার্বি থেকে শিল্ড সেমিফাইনালের ডার্বি একেবারে আলাদা বলে মত ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানের।
সাত-সতেরো ভেবে কথা বলেননা। কিন্তু ১৭ তারিখ এই আবেগপ্রবণ পঞ্জাব তনয়ের সাত নম্বর জার্সির কাছে ভরসা খুঁজবেন অসংখ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। নবির পর ভারতীয় ফুটবলে দ্বিতীয় ইউটিলিটি ফুটবলারের নাম হরমোনজ্যোত সিং খাবরা। পরিসংখ্যান বলছে, ডার্বি ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত শেষ গোল এসেছে খাবরার হেড থেকেই। নয়ই ডিসেম্বরের সেই অভিশপ্ত ডার্বি ময়দান মনে রাখতে না চাইলেও,খাবরা মনে রাখেন তাঁর গোলের জন্য। আর সেটাই শিল্ডে ডার্বির আগে অনুপ্রাণিত করে তাঁকে। নিউমেরোলজিতে অন্ধবিশ্বাসী খাবরার জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সাত নম্বর।
জার্সি থেকে মোবাইল নম্বর,এমনকি ইমেল আইডি থেকে গাড়ির নম্বরপ্লেট-সব জায়গাতেই খাবরার পছন্দের সাতের আধিক্য। ইস্টবেঙ্গলের প্রিয় এইচকে সেভেনের সাত প্রেমের ডার্বি স্পেশ্যাল নমুনা একটি সাত নম্বর লকেট। ভারতীয় ফুটবলে অনেক ফুটবলারের লকেটে দেখা গিয়েছে নিজের নাম বা নামের আদ্যঅক্ষর অথবা বান্ধবী বা স্ত্রীর নাম। কিন্তু প্রিয় নম্বর এইভাবে গলায় লকেট হিসেবে ঝুলছে,তা সত্যিই অভিনব। আর এই অভিনব কাণ্ড ঘটানো খাবরার লক্ষ্য একটি একটি করে ডার্বি গোলের সংখ্য সাত পার করা।