স্বর্গোদ্যানে মোহন ম্যাজিক, বিতর্ক ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে
জম্মু-কাশ্মীর একাদশের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে বড় জয় পেল মোহনবাগান। টোলগে-ওডাফারা ৪-০ গোলে হারাল জম্মু-কাশ্মীর একাদশকে।
জম্মু-কাশ্মীর একাদশের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে বড় জয় পেল মোহনবাগান। টোলগে-ওডাফারা ৪-০ গোলে হারাল জম্মু-কাশ্মীর একাদশকে। টোলগে, ওডাফা দুজনেই গোল পেলেন। এই দুই তারকা স্ট্রাইকারের রসায়নও দারুণ কাজ করল। জুয়েল রাজা, মনীশ মাথানিও গোল করলেন।
সন্তোষ কাশ্যপের দলের ছেলেদের প্র্যাকটিশটাও ঠিকঠাক হল। সীমিত ক্ষমতা নিয়ে লড়ল জম্মু-কাশ্মীর একাদশও। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল স্বর্গোদ্যানের মানুষের ফুটবলপ্রেম। শ্রীনগরের বক্সি স্টেডিয়ামে এই প্রদর্শনী ম্যাচে দর্শক আসনে তিল ধারনের জায়গা থাকল না। সব দেখে শুনে মনে হল এআইএফএফ যদি একটু নজর দেয় তা হলে স্বর্গোদ্যানে ফুটবল দেশকে অনেক কিছু দিতে পারে।
এ দিকে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ইস্টবেঙ্গল-বিএনআর ম্যাচে বিতর্ক বাঁধল। পেনের ৪৮ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৬৮ মিনিটের মাথায় তুমুল বৃষ্টির কারণে রেফারি খেলা থামিয়ে দিতে বাধ্য হন। রেফারি।ঘড়িতে তখন বাজে চারটে বত্রিশ।তারপর যুবভারতীতে শুরু নাটক।গত বছর আই লিগের ডার্বি ম্যাচের পর ফ্লাডলাইটে কোনও ম্যাচ হয়নি।ম্যাচ করতে বদ্ধপরিকর আইএফএ কর্তারা যোগাযোগ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে।ক্রীড়ামন্ত্রী যুবভারতীর আলো জ্বালিয়ে দেওযার নির্দেশ দেন।কিন্তু আলো জ্বালাবার লোকই উপস্থিত নেই স্টেডিযামে।অগত্যা লোক জোগাড় করে শুরু হয় আলো জ্বালানো।প্রায় দেড় ঘণ্টা সময়ও পুরো লাইট জ্বলে ওঠেনি।ক্রমশ ধৈর্য হারাতে থাকেন দুই ক্লাবের কোচ-ফুটবলার,এমনকি সমর্থকরাও।ছটা নাগাদ আলোর পরিস্থিতি দেখে দুই অধিনায়ককে মাঠে নামতে অনুরোধ করেন রেফারি।কিন্তু পুরো আলো না আসায় মাঠে নামতে চাননি বিএনআর টিম ম্যানেজমেন্ট।পরে ম্যাচ কমিশনার জানান,যখন খেলা বন্ধ হয়,তখন স্টেডিয়ামে পর্যাপ্ত আলো ছিল। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার স্বপন বলের দাবি,বিএনআর ম্যাচ খেলতে চায়নি। সোমবার আইএফএ-তে ম্যাচ কমিশনার তাঁর রিপোর্ট দিতে চলেছেন।