‘অবসর নিতে দেয়নি স্ত্রী, ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চাপ দিয়েছিল শোয়েব আখতার’
দু বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েই ফুল ফুটিয়ে দিলেন মহমম্দ হাফিজ। দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই শতরানের ইনিংস খেললেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল পেলেন বর্ষীয়ান পাক ক্রিকেটার মহমম্দ হাফিজ। হতাশা থেকে চট জলদি সিদ্ধান্ত নিলে যে বিরাট ভুল হয়ে যেত, তা অবলীলায় জানালেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান পাওয়র পর হাফিজ জানান, “এশিয়া কাপে সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আমি হয়ত সেই কঠোর সিদ্ধান্তটাও নিয়ে ফেলতাম। তবে স্ত্রী (নাজিয়া) ও শোয়েব আখতার আমাকে আটকেছে । ”
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যার্থ হওয়ার পর তাঁকে কার্যত একঘরে করে দিয়েছিল পাক ক্রিকেট বোর্ড। ২ বছর তাঁকে সুযোগই দেওয়া হয়নি। তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার কারণে নির্বাচকরা তাঁর অবদানকেই অস্বীকার করছে, স্রেফ এই অভিমানেই ক্রিকেট জীবনকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন মহম্মদ হাফিজ। কিন্তু, তাকে অবসর নিতে দেননি তাঁর স্ত্রী নাজিয়া। ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার জন্য হাফিজকে চাপ দেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারও। তাঁদের কথা মেনেই এত দিন ধৈর্য ধরে ছিলেন হাফিজ। আর তার ফলও মিলল হাতেনাতে।
আরও পড়ুন- নিজেকে ক্রিকেটের 'ডন' বলে ট্রোলড হলেন শোয়েব!
দু বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েই ফুল ফুটিয়ে দিলেন মহমম্দ হাফিজ। দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই শতরানের ইনিংস খেললেন তিনি। এই টেস্টে হাফিজের (১২৬) সঙ্গেই শতরান অর্জন করেছেন হ্যারিস সোহেলও (১১০)। শতরান হাতছাড়া হলেও পাকিস্তানের স্কোর বোর্ডকে পাঁচশো রানের কাছাকাছি নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন ওপেনার ইমাম-উল-হক(৭৬) এবং আসাদ শফিক (৮০)।
আরও পড়ুন- বিদেশ সফরে গোটা সময় অনুষ্কাকে পাশে পাওয়ার বিরাট আবেদনে সায় নেই বোর্ডের!
অন্যদিকে পাকিস্তানের ৪৮২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। খোয়াজা (৮৫) ও অ্যারন ফিঞ্চ (৬২) ছাড়া আর কোনও অজি ব্যাটসম্যানই পাকিস্তানি বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। হাফ ডজন উইকেট পকেটে পুরেছেন স্পিনার বিলাল আসিফ। ৪টি উইকেট পেয়েছেন পাক পেস ব্যাটারি মহম্মদ আব্বাস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হাফিজের উইকেট হারায় পাকিস্তান। বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ‘নাইট ওয়াচম্যান’ বিলাল আসিফও। সব মিলিয়ে টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫। লিড ৩২৫ রান।