মোয়েন আলির 'সেভ ইংল্যান্ড' বিস্মৃত করল ভারতের ঐতিহাসিক জয়কে
লর্ডসের ঐতিহাসিক জয়ের পর ভারত একেবারে উলাটপুরান পারফরমেন্সে ধারশায়ী হল ইংল্যান্ডের কাছে। অথবা ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে লর্ডসের শোচনীয় হারের পর কুকবাহিনী সমতা ফিরিয়ে বিজয় পতাকা ওড়াল সাউদাম্পটনের রোজ বাউল গ্রাউন্ডে।
লর্ডসের ঐতিহাসিক জয়ের পর ভারত একেবারে উলাটপুরান পারফরমেন্সে ধারশায়ী হল ইংল্যান্ডের কাছে। অথবা ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে লর্ডসের শোচনীয় হারের পর কুকবাহিনী সমতা ফিরিয়ে বিজয় পতাকা ওড়াল সাউদাম্পটনের রোজ বাউল গ্রাউন্ডে। কিন্তু, ২৮ বছর পর লর্ডসের ঐতিহাসিক জয়ের কী এমন কারণ ছিল, যা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দ্বিতীয় টেস্টে সেই বাজি কাজে লাগিয়েও সাফল্য আনতে পারলেন না? বলা যেতে পারে প্রধান দুটি কারণে ভারতের ভরাডুবি। সম্পূর্ণরূপে ব্যাটিং ও বোলিং বিপর্যয়।
ব্রিটিশ বাহিনীর প্রথম ইনিংসে বড় রানের বোঝা মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল ভারতের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের। গ্যারি ব্যালেন্স (১৫৬) ও ইয়ান বেলের (১৬৭) দুর্দান্ত শতরান, সঙ্গে কুকের অল্পের জন্য হাতছাড়া শতরান (৯৫) তৈরি করেছে রানের মাইলস্টোন। জস বাটলার করেন ৮৫ রান। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৫৬৯ রানে। শেষ বলা ভুল হবে সাত উইকেট হারিয়ে ডিক্লেয়ার করে অ্যালেস্টার কুক। ভুবেনশ্বর কুমার ৩ ও রবীন্দ্র জাদেজা ২ টি করে উইকেট পান। জবাবে ভারত ১০০ রানের মধ্যে তিন উইকেট, ২৫০ মধ্যে ৬, বাকি ৩৩০ রানের মধ্যে সব উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে। ভারতের ব্যাটিং নিয়ে বলার মতো একদম মাপা দুটো অর্ধশতরান। রাহনের ৫৪ ও ধোনির ৫০ রান। কিন্তু, জেমস অ্যান্ডারসনকে যতটা প্রশংসা করা যায় ততটাই কম। বোলিং ইকোনমি মাত্র ২.০২, ২৬ ওভারে ১০ টি মেডেন, সঙ্গে ৫টি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড আরও ২০৫ রান যোগ করে। অনবদ্য কুকের ৭০ ও জো রুটের ৫৬ রান উল্লেখযোগ্য। জবাবে ভারত!!! মোয়েন আলির বোলিং দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। লর্ডসের জয়ের পর ভারতের মনোবল যখন আকাশচুম্বী, আত্মবিশ্বাস বজ্রের মতো অটুট সেই দলের ছজন ব্যাটসম্যান দশের গন্ডিও টপকাতে পারলেন না! মাত্র ১৭৮ রানে আকাশচুম্বি 'কুল মাথা' মিশে গেল পথের ধুলোয়। যদিও অধিনায়ক ধোনি প্রাথমিকভাবে পরাজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ি করছেন। কিন্তু দুই টেস্টে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং পরিসংখ্যান বলছে ১, ১৯ ও ৫০, ৬।