বিতর্ক, বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লিয়েন্ডারের ১৫তম শৃঙ্গ জয়,৪১-এর লি-এর সঙ্গী ৩৪-এর হিঙ্গিস
ওয়েব ডেস্ক: তাঁর বয়সী টেনিস খেলোয়াড় এখন নাক ডেকে ঘুমোন, কিংবা চশমা পড়ে ঘোরেন। চল্লিশে চালসে-এর প্রবাদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৪১ বছর বয়সে গ্র্যান্ডস্লাম খেতাব জিতলেন লিয়েন্ডার পেজ। সঙ্গে মহিলা টেনিসের রোমান্সের অপর নাম মার্টিনা হিঙ্গিস। ৩৪ বছরের মার্টিনা হিঙ্গিসের ৫টি গ্র্যান্ডস্লাম সিঙ্গলস খেতাব রয়েছে। কিন্তু লিয়েন্ডারের সঙ্গে আজকের এই খেতাব জয়কে 'স্পেশাল' বলছেন হিঙ্গিস নিজেই। ফাইনালে লি-হিঙ্গস জুটি ৬-৪,৬-৩ হারালেন ফ্রান্সের ক্রিস্টিনা মালডেনোভিচ ও কানাডার ড্যানিয়েল নেস্টার।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে লিয়েন্ডারের জয়ের পর কিছু সংখ্যার কথা আগে বলে নেওয়া যাক। লিয়েন্ডারের এটি ১৫তম গ্র্যান্ডস্লাম, মিক্সড ডাবলসে সপ্তম। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবার নিয়ে মোট চতুর্থ খেতাব। কিন্তু এসব সংখ্যাগুলোর পরেও যেন অনেক কথা না বলা থেকে যাচ্ছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাদার জীবন। সবেতেই বিতর্ক। মহেশ ভূপতির সঙ্গে ছায়াযুদ্ধটা আইপিটিএল-এর পর আরও বেড়েছে, সন্তানকে নিয়ে কোর্টে পর্যন্ত লড়তে হচ্ছে প্রাক্তন স্ত্রী-এর সঙ্গে।
কিন্তু এরপরেও লক্ষ্যস্থির লিয়েন্ডারের। পেশাদার টেনিস সার্কিট দিনদিন কঠিন হচ্ছে, সেখানে ৪১ বছরে খেতাব জেতা আশ্চর্য ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। রজার ফেডরারের খেলায় তিনিও গোটা বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
২০০৩ সালে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন লিয়েন্ডার। আর অন্য মার্টিনাকে নিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলেন সেই মেলবোর্ন পার্কেই। লিয়েন্ডার-হিঙ্গিসের দুজনের বয়স মেলালে হবে ৭৫। ছিলেন সপ্তম বাছাই। কিন্তু একেবারে ছবির মত সুন্দর টেনিস খেলে সব অপ্রতিকূলতা পিছনে ফেলে উদাহরণ হয়ে থাকলেন। তাই তো তিনি লিয়েন্ডার।