বিশ্বকাপ বিক্রির অভিযোগে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মুখ খুললেন সাঙ্গাকারা
সাঙ্গাকারাকে সেদিন ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে শ্রীলঙ্কাজুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। বহু মানুষ দেশের প্রথম সারির তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারের তুলোধনা করেন। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলে। কার্যত লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথাগমাগে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ বিশ্বকাপ বিক্রি করেছিলেন তাঁর দেশের ক্রিকেটাররা। কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। তবে তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
প্রাক্তন লঙ্কা ক্রীড়ামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবির পরে, তদন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কা সরকার। তদন্তে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে। সাঙ্গাকারাকে সেদিন ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে শ্রীলঙ্কাজুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। বহু মানুষ দেশের প্রথম সারির তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারের তুলোধনা করেন। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলে। কার্যত লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যায়।
তদন্তে অবশ্য কিছুই মেলেনি। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে জুলাই মাসের গোড়াতেই তদন্ত শেষ গিয়েছে বলে জানিয়ে দেয় সে দেশের পুলিস। তবে সাঙ্গাকারার মতো ব্যক্তিত্বকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে পুলিসি তদন্তের মুখে পড়বেন তা মেনে নিতে পারেননি অনেক ভক্তই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাঙ্গাকারা। তাঁর মতে ক্রিকেটের ভালোর জন্য এটা হতেই পারে।
এক সাক্ষাত্কারে সাঙ্গাকারা বলেন, "এটা অবশ্যই হতাশাজনক। তবে কিছুটা কৌতূহলের ব্যাপারও ছিল। আসলে আমাদের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী একটা উদ্ভট দাবি তুলেছিলেন! ফলে আমাদের সেখানে গিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। আসলে এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সত্যি ক্রিকেটের জন্য ভাল। সেটা আমাকে হোক, নির্বাচকদের হোক কিংবা মাহেলাকে করা হোক না কেন। আমার মনে হয় খেলার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে এবং সেটা মানুষকে বোঝাতেও এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
তিনি আরও বলেন,"ক্রিকেটে সৎ মানুষের দরকার আছে। এমন মানুষের দরকার যারা কোনও কথা বলতে ভয় পায় না। কোনও বিষয়ে উত্তর দিতে হলে নিজেকে লোকানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি যে কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।"
আরও পড়ুন -