এ কি! ঝুঁকির রাইডিং শেখাচ্ছেন বিরাট কোহলি?
বিরাটের আগে এই মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ, জাহির খান এবং মহম্মদ কাইফকে। একটা সময় এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন যুবরাজ সিংও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়কে করও জয়। তাই বলে এভাবে? সম্প্রতি একটি মোটরবাইক বিজ্ঞাপনে যেভাবে ঝুঁকি নিতে দেখা গেল ভারত অধিনায়ককে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপে কোহলির অনুপস্থিতি কোনও ফ্যাক্টর হবে না, মত সৌরভের
প্রথম দৃশ্য- লাল-কালো মোটরবাইকে চেপে চার চাকা গাড়ির পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বিরাট , সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক নিয়ে।
দ্বিতীয় দৃশ্য- এবার বিরাট লাল-কালো মোটরবাইকে চেপে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে। সিগন্যাল লাল থেকে সবুজ হতেই টপ গিয়ারে সামনের চাকা তুলে সওয়ারি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বিরাট। চোখের পলক ফেলতেই হু-শ-শ। বিরাটের মোটরবাইকের গতি এতো যে পথচারী তরুণীর খোলা চুলও উড়ে যাচ্ছে। এলোমেলো হয়েযাচ্ছে, ঠিক যেমনটা হয় ঝড়ের সময়।
তৃতীয় দৃশ্য- দুটো তেলের ট্যাঙ্কারের মাঝখান দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে এল বিরাটের মোটরবাইক।
এই বিজ্ঞাপনের স্লোগান – নিজের ভয়কে মাটিতে পুঁতে দাও, ভয়কে প্রহার করো, হারাও। এবার আপনিই বলুন- ভারত তথা বিশ্বের ক্রিকেট আইকন, যার চুলের ছাঁট থেকে পোশাক, হাঁটা চলা, কথা বলার ধরন সবই হাঁ করে গিলছে তরুণ প্রজন্ম, সেখানে এই ধরনের একটা বিজ্ঞাপন যুবদের আরও বিপদমুখী করে দেবে না?
পেশাদাররা যা করতে পারেন তা সব সময়ই একজন সাধারণের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। কুস্তিতেও তো আমরা দেখি, বড় বড় করে লেখা থাকে – দয়া করে বাড়িতে এই খেলা খেলবেন করবেন না। এখানে সবাই পেশাদার। বিরাট নিজেও একজন পেশাদার। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম – সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো লাখো অনুরাগী তাঁর। সেখানে এমন একটা ঝুঁকি নিতে শেখানোর বিজ্ঞাপন কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে তা অনেকেরই কল্পনাতীত।
প্রসঙ্গত, বিরাটের আগে এই মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ, জাহির খান এবং মহম্মদ কাইফকে। একটা সময় এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন যুবরাজ সিংও। এবার এই মোটরবাইক প্রস্তুত সংস্থা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।