টানটান ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্লে অফের পথে কেকেআর

শনিবার কলকাতার হাইপ্রোফাইল ডে-তে হওয়া এই ম্যাচ হার্টের অসুখে ভোগা মানুদের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত।

Updated By: May 9, 2015, 08:26 PM IST
টানটান ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্লে অফের পথে কেকেআর

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

কিংস ইভেলেন পঞ্জাব- ১৮৩/৫
কলকাতা নাইট রাইডার্স-১৮৪/৯ (১৯.৫ ওভার)
কেকেআর জয়ী ১ উইকেটে।

ওয়েব ডেস্ক: এই হল আইপিএল। এই হল টি২০। শনিবার কলকাতার হাইপ্রোফাইল ডে-তে হওয়া এই ম্যাচ হার্টের অসুখে ভোগা মানুদের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। পেন্ডুলামের থেকে তাড়াতাড়ি দোলা এই ম্যাচে শেষ অবধি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখে হাসি তুলে দিল। ম্যাচের একটা সময় প্রায় হেরে বসতে চলা দলকে দারুণ জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ২১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে যখন দলকে জিতিয়ে বসতে চলেছেন রাসেল (১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে আইপিএল ৮ এ রেকর্ড) তখনই তিনি আউট। এরপর ম্যাচের জমজমাট নাটকে কখনও আউট, কখনও হিসাব বুঝে রান।

শেষ ওভারে নাইটদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান, হাতে ৩ উইকেট। সন্দীপের প্রথম বলে সিঙ্গলসের পর, রান আউঠ হয়ে ফিরে যান হগ। ওভারের তৃতীয় বলেই ছয় মেরে ম্যাচ টাই করে ফেলেন চাওলা। কিন্তু এমন একটা ম্যাচ তো আর এত ম্যাড়ম্যাড়ভাবে শেষ হতে পারে না, তাই ক্রিকেট দেবতার অভিশাপে ওয়াইড বলে খোঁচা মেরে আউঠ হয়ে যান। দু বলে তখন জিততে দরকার ১, ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পঞ্জাবের দরকার ১ উইকেট। ক্রিজে নামলেন নারিন। কোনও রকমে বলটা ব্যাটে ঠেকিয়ে ছুটলেন নারিন।

ওদিকে ফিল্ডারও ছুটে এসে থ্রো করলেন নন স্ট্রাইকার এন্ডে। একটুর জন্য বল উইকেটে লাগল না। কেকেআর দু পয়েন্ট তুলে নিল। ১২ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট তুলে নিয়ে আইপিএল ৮-এর পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গম্ভীরের দল। শেষ দুটো ম্যাচে রাজস্থান, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে কলকাতার। তবে আজ রাসেল, নারিনরা যা খেললেন তাতে আর যদি, কিন্তু-র অপেক্ষায় না থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেই প্লে অফে যেতে চান গম্ভীর। কে না জানে শীর্ষে থাকলে একটা ম্যাচ খেলেই ফাইনালে ওঠার ছাড়পত্র মিলবে।

চার স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমে সেভাবে সুফল পেলেন না গম্ভীর। তবে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে নারিনের প্রত্যাবর্তন দলকে অক্সিজেন জোগাবে। আর অক্সিজেন জোগাবে এত বড় রান তাড়া করে জেতাটা। বোলাররা নন এবার কলকাতাকে মোক্ষম সময়ে জেতালেন ব্যাটসম্যানরা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য ইডেনের দর্শকদরে ভোগান্তির একশেষ। ম্যাচ শেষের পরেও বাড়ি ফেরার কোনও উপায় নেই দর্শকদের। কিন্তু তবু বিরক্তি নেই একফোঁটা। থাকবে কী করে! নারিনের চার উইকেট, ম্যাক্সওয়েলের মার, পাঠানের ব্যাটিং, রাসেলের ভোজবাজি, ম্যাচের টানটান সব মুহূর্ত। এরপর আর বিরক্তি থাকে! 

.