আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের ISL-এ খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ! হাল ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা
আগে ঠিক ছিল অগাস্টে শুরু হবে নতুন মরশুম। সেপ্টেম্বর শুরু হবে আইএসএল। কিন্তু করোনার ধাক্কায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফেডারেশন কর্তারা মনে করছেন নভেম্বরের আগে আইএসএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের মধ্যেও ঠিক দল গুছিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক ভারতীয় তারকাকে চূড়ান্ত করে ফেলছেন লাল-হলুদ কর্তারা। আত্মবিশ্বাসের সুরে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের দাবি নতুন মরশুমে আইএসএল খেলবেনই তাঁরা।
কিন্তু বাস্তব চিত্রটা অন্য। ফেডারেশন সূত্রে খবর, নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার সম্ভাবনা বেশ কম! বুধবার রাতে তাদের মার্কেটিং পার্টনারের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ফেডারেশন কর্তারা। সেখানে ইস্টবেঙ্গল নিয়ে একটা শব্দও আলোচনা হয়নি। এমনকি নতুন দল নেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়নি।
আগে ঠিক ছিল অগাস্টে শুরু হবে নতুন মরশুম। সেপ্টেম্বর শুরু হবে আইএসএল। কিন্তু করোনার ধাক্কায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফেডারেশন কর্তারা মনে করছেন নভেম্বরের আগে আইএসএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সেক্ষেত্রে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিয়ম নেমে নয় মাসের লিগ আর আইএসএল-এর সব দলের ২৭টা করে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই হয়ত সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে এএফসি-র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ফেডারেশন কর্তারা মনে করছেন সেই অনুমতি পেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। এই পরিস্থিতিতে দল বাড়িয়ে জটিলতা বাড়ানোর পক্ষপাতী নয় আইএসএল উদ্যোক্তারা। তাই বলতেই হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন আইএসএলে লাল-হলুদের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য বসে নেই। স্পনসর-ইনভেস্টরের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তাঁরা। করোনা পরবর্তী সময়ে স্পনসর-ইনভেস্টর পাওয়া কঠিন হতে পারে। সেটা ভালমতোই জানেন লাল-হলুদ কর্তারা। তবে হাল ছাড়তে নারাজ তারা। আইএসএলে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ইনভেস্টর-স্পনসর যোগাড় করে নিজেদের জায়গাটা আপাতত করে রাখতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তার পরের ধাপে থাকছে আইএসএলে ঢোকার পথ।
আরও পড়ুন - সৌরভ থেকে যুবরাজ, শাস্ত্রী থেকে কোহলি; জন্মদিনে শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসছেন সচিন