ISL Derby: কৃষ্ণের বাঁশিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পথে বাগান, প্রশ্নের মুখে ফাওলাররা
ম্যাচের শুরু থেকেই যে দাপটে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড খেলেছে তাতে গোলের সংখ্যা আরও বেশী হতেই পারত।
নিজস্ব প্রতিবেদন - চলতি আইএসএলে কৃষ্ণের বাঁশিতে যখন একের পর এক দল বশ্যতা স্বীকার করছে তখন এসসি ইস্টবেঙ্গলেরও যে একই হাল হবে তা ম্যাচের আগে অনেকেই পূর্বাভাস করেছিলেন। তবে এইভাবে একপেশে খেলে যে এটিকে মোহনবাগান ম্যাচটা জিতবে তা অতি বড় সমর্থকও বোধহয় ভাবতে পারেননি। ম্যাচের শুরু থেকেই যে দাপটে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড খেলেছে তাতে গোলের সংখ্যা আরও বেশী হতেই পারত, বলা যায় যে আরও বড় লজ্জার হাত থেকে বেঁচেই গেলেন ফাওলার।
ম্যাচের শুরুতেই শুভাশিসের বাঁদিক থেকে ভাসানো সেন্টার অল্পের জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি মনবীর। মনবীর যদি সামান্যও পা ছোঁয়াতেন তাহলে তখনই এক গোলে এগিয়ে যেত মোহনবাগান। আইএসএলে ১৮টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেল কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স এখনও সেট হতে পারল না। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় তিরির যে বল ধরে কৃষ্ণ গোল করে গেলেন সেখানে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স এক লাইনে দাঁড়িয়ে না পড়লে গোলটা বাঁচানো যেতেও পারত। কোনো ব্লকিং, কভারিং বা ভালো ট্যাকলও চোখে পড়েনি লাল-হলুদ ফুটবলারদের থেকে। একটা সময় রীতিমতো শারীরিক ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল তারা কিন্তু পেশীশক্তি দিয়ে এই এটিকে মোহনবাগানকে আটকানো যায় না, যায় নি।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ফাওলাররা বলে আসছেন যে ২০ দিনের প্রি-সিজন ট্রেনিং করার সময় পেয়েছেন। এত বড় মাপের টুর্নামেন্টের জন্য যা সত্যিই কম। কিন্তু টুর্নামেন্টও ৩ মাস গড়িয়ে গেল। এখনও ন্যুনতম বোঝাপড়া কেন তৈরী হবে না? এর দায় তো কোচকে নিতেই হবে। গোটা ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিট ছাড়া সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি ফাওলারের ছেলেদের। একমাত্র ব্রাইটের খেলাতেই কিছু করার চেষ্টা ধরা পড়েছে। এর বাইরে বলার মত রাজু গায়কোয়াড়ের লম্বা থ্রো। ম্যাচের ৪১ মিনিটে রাজুর এই লম্বা থ্রো থেকেই তিরির ভুলে সেমসাইড গোল খান অরিন্দমরা। এর বাইরে সত্যিই গোটা ম্যাচে বলার মত কিছু লাল হলুদের।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ছন্নছাড়া ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স। ৭২ মিনিটের মাথায় যেভাবে বক্সের বাইরে কৃষ্ণর পায়ে বল তুলে দিলেন ডিফেন্ডাররা তাতে একম্যাচ বাইরে বসানো যেতেই পারে। কৃষ্ণর থেকে বল পেয়ে প্রায় বিনা বাঁধায় গোল করে গেলেন ডেভিড উইলিয়ামস। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে ৮৯ মিনিটেও কৃষ্ণর মাপা সেন্টারে গোল করে যাল জাভি।
দুইদলের মধ্যে প্রধান ফারাক গড়ে দিলেন কৃষ্ণই। সঙ্গে উইলিয়ামস, মনবীর, মার্সেলিনহো। এই আক্রমণভাগকে আটকানোর ক্ষমতা ছিল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এই ম্যাচ জিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান।