SRH vs RR | IPL 2023: নিজামের শহর গুঁড়িয়ে রাজকীয় মেজাজে আইপিএল শুরু রয়্যালসদের
Rajasthan Royals beats Sunrisers Hyderabad by: ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই লজ্জার হার হারল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গতবারের রানার্স রাজস্থান রয়্যালস ক্লিনিক্যাল অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে, প্রথম ম্যাচেই তুলে নিল দুরন্ত জয়। ৭২ রানে জিতল রয়্যালসরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইপিএল সিক্সটিনের (IPL 2023) পাঁচ নম্বর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস (Sunrisers Hyderabad vs Rajasthan Royals, SRH vs RR)। রবিবাসরীয় ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচ দেখল রাজস্থানের একাধিপত্য। নিজামের শহর গুঁড়িয়ে রাজকীয় মেজাজে আইপিএল শুরু করল গতবারের রানার্স রয়্যালসরা। হায়দরাবাদ ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে (Rajiv Gandhi International Stadium, Uppal, Hyderabad) প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল। উপলে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar)। ভুবনেশ্বরের সিদ্ধান্ত একেবারে ভুল প্রমাণ করে দিলেন সঞ্জু স্যামসনরা (Sanju Samson)। রাজস্থান প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে। জবাবে সানরাইজার্স ১৩১ রানে গুটিয়ে গেল। ৭২ রানে জিতল সঞ্জু অ্যান্ড কোং।
এদিন সকালেই ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার সেলিম দুরানির প্রয়াত হয়েছেন। ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সেলিম স্মরণে দুই দলের ক্রিকেটার ও ম্যাচ আধিকারিকরা, খেলা শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর খেলা শুরু হতেই রাজস্থানের দুই চেনা ওপেনার শুরু করে দেন তাণ্ডবলীলা। ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল কাউকে রেয়াত না করার মুডেই ছিলেন এদিন। বাটলার গত মরসুমে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান শিকারি হয়েছিলেন। ১৮ ম্যাচে করেছিলেন ৮৬৪ রান।
আরও পড়ুন: Wanindu Hasaranga | RCB vs MI: মাঠে নামার আগেই বিরাট ধাক্কা, 'স্পিন উইজার্ড'কে পাচ্ছেন না ফাফরা!
বাটলার যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করলেন এদিন। ৫.৫ ওভারের মধ্যে বাটলার-যশস্বী জুটি স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেন ৮৫ রান। বাটলার ৩২ মিনিট ক্রিজে থেকে ২২টি বল খেলে করেন ঝোড়ো ৫৪ রান। ৭টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান তিনি। ২৪৫.৪৫-এর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন তিনি। বাটলার ফিরে যাওয়ার পর যশস্বীর হাত শক্ত করতে আসেন সঞজু স্যামসন। ১২.৩ ওভার পর্যন্ত খেলেন সঞ্জু-যশস্বী। ৩৭ বলে ৫৪ করে আউট হন তিনি। সঞ্জু মেরেছেন ৯টি চার। চার ও পাঁচে নেমে ব্যর্থ হন মিডল অর্ডারের দুই ভরসামান ব্যাটার দেবদত্ত পাড়িক্কল (২) ও রিয়ান পরাগ (৭)। তবে ক্যাপ্টেন সঞ্জু ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজেই। ৩২ বলে ঝকঝকে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। রাজস্থানের প্রথম তিন ব্যাটারের সৌজন্যেই ১৫০ প্লাস রান চলে আসে স্কোরবোর্ডে। ছয়ে নেমে ক্যারিবিয়ান পাওয়ারহিটার শিমরন হেটমায়ার ১৬ বলে ২২ রান করেন। সানরাইজার্সের হয়ে আফগান জোরে বোলার ফজলহক ফারুকি নেন দুই উইকেট। টি নটরাজন নেন দুই উইকেট। উমরান মালিক পান এক উইকেট।
২০০-র বেশি রান তাড়া করে টি-২০ ম্যাচ জিততে হলে, যেটা প্রয়োজন হয়, সেটা হল একটা দারুণ ওপেনিং। এদিন সেটাই করতে পারল না সানরাইজার্স। প্রথম ওভারেই চলে যায় দুই উইকেট। সৌজন্যে বিশ্ববন্দিত পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। অভিষেক শর্মা ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল ওপেন করতে নেমেছিলেন। বোল্ট অভিষেকেকে (০) ও তিনে নামা রাহুল ত্রিপাঠীকে (০) ফিরিয়ে দেন। এরপর একের পর এক ব্যাটার ফিরতে শুরু করে দেন রাজস্থানের পেস ও স্পিনের যুগলবন্দিতে। মাত্র ৪৮ রানে চলে যায় দলের পাঁচ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রান তুলতে পারে সানরাইজার্স। তবে এদিন মন কেড়ে নিয়েছে সাতে নাম পরিবর্ত ক্রিকেটার আবদুল সামাদ। ৩২ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ফের একবার বল হাতে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে নিজের জাত চেনান যুজবেন্দ্র চাহাল। নির্ধারিত কোটার চার ওভার বল করে, ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। জেসন হোল্ডার ও আর অশ্বিন পেয়েছেন এক উইকেট করে।