দিনের শেষে ধোনির তৃপ্ত হাসি!

আধারের পিছনে সর্বদা আলো লুকিয়ে থাকে। দীর্ঘ পরিশ্রম, নিঃস্বার্থ সাধনায় সেই আলোর ঠিকানায় কিভাবে পৌচ্ছানো যায়, চেতাশ্বর পুজারা শতরান করে তা দেখিয়ে দিলেন। আর তার যোগ্য সঙ্গ দিলেন `অলরাউন্ডার` রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ভারতীয় শিবিরের অন্যতম বোলার হলেও, ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় নিজের ব্যাট শক্ত করে ধরতে কখনও ভয় পান না। গতবছর এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান করেন তিনি। আর আজ অশ্বিন দিনের শেষে ৬০ রানে অপরাজিত থেকেছেন। চেতাশ্বর পুজারাও অনবদ্য ১১৪ রানে ক্রিজে টিকে রয়েছেন। টালমাটাল পরিস্থিতি থেকে কার্যত একাহাতে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন তারকা। বাইশ গজ পিচে আবহাওয়া যতই খারাপ হোক তাঁর শুরুর মধ্যে যেমন কোনও তাড়াহুড়ো নেই, তেমনি সেঞ্চুরির পথেও একই রকম অবিচল তিনি। স্বভাবত ওয়াংখেড়ের দর্শকরা পুজারার ব্যাটিং-এ `ডিপেন্ডেবলের ছায়া` দেখতে পেলেন। একের পর এক মহারথীরা যখন `শুধু যাওয়া আসা`-র ফর্মুলা মেনে প্যাভিলিয়নমুখী তখন দলকে বাঁচাতে তিন নম্বর স্থানে আসা রক্ষণশীল পুজারা হাল ধরেন। পাহাড় প্রমাণ চাপের মধ্যেও কোনও রকম তাড়াহুড়ো না করে সারাক্ষণ অবিচল, অনড় থেকেছেন পুজারা। তাই কোনও অসুবিধাই হল না নিজের কেরিয়ারের তৃতীয় শতরানটি পুরণ করতে।

Updated By: Nov 23, 2012, 06:57 PM IST

ভারত- ২৬৬/৬ (৯০.০ওভার)
চেতাশ্বর পুজারা- ১১৪
রবিচন্দ্রন অশ্বিন-৬০
ইংল্যান্ড- মন্টি পানেসর: ৯১ রানে ৪ উইকেট
আধারের পিছনে সর্বদা আলো লুকিয়ে থাকে। দীর্ঘ পরিশ্রম, নিঃস্বার্থ সাধনায় সেই আলোর ঠিকানায় কিভাবে পৌচ্ছানো যায়, চেতাশ্বর পুজারা শতরান করে তা দেখিয়ে দিলেন। আর তার যোগ্য সঙ্গ দিলেন `অলরাউন্ডার` রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ভারতীয় শিবিরের অন্যতম বোলার হলেও, ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় নিজের ব্যাট শক্ত করে ধরতে কখনও ভয় পান না। গতবছর এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান করেন তিনি। আর আজ অশ্বিন দিনের শেষে ৬০ রানে অপরাজিত থেকেছেন। চেতাশ্বর পুজারাও অনবদ্য ১১৪ রানে ক্রিজে টিকে রয়েছেন।
টালমাটাল পরিস্থিতি থেকে কার্যত একাহাতে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন তারকা। বাইশ গজ পিচে আবহাওয়া যতই খারাপ হোক তাঁর শুরুর মধ্যে যেমন কোনও তাড়াহুড়ো নেই, তেমনি সেঞ্চুরির পথেও একই রকম অবিচল তিনি। স্বভাবত ওয়াংখেড়ের দর্শকরা পুজারার ব্যাটিং-এ `ডিপেন্ডেবলের ছায়া` দেখতে পেলেন। একের পর এক মহারথীরা যখন `শুধু যাওয়া আসা`-র ফর্মুলা মেনে প্যাভিলিয়নমুখী তখন দলকে বাঁচাতে তিন নম্বর স্থানে আসা রক্ষণশীল পুজারা হাল ধরেন। পাহাড় প্রমাণ চাপের মধ্যেও কোনও রকম তাড়াহুড়ো না করে সারাক্ষণ অবিচল, অনড় থেকেছেন পুজারা। তাই কোনও অসুবিধাই হল না নিজের কেরিয়ারের তৃতীয় শতরানটি পুরণ করতে।
যদিও নিউটনের তৃতীয় সুত্রের মতো ওয়াংখেড়ের প্রসিদ্ধ স্পিনিং পিচ বুমেরাং হয়ে ফিরচ্ছে ধোনিবাহিনীর কাছেই। আর এই কাজটা এখনও পর্যন্ত একাই সারচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ অর্থোডক্স স্পিনার মন্টি পানেসর। ম্যাচের সকালে গৌতম গম্ভীর মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ম্যাচের প্রথম ওভারে অ্যান্ডারসনের বলে এল বি ডব্লিউ হন। কিন্তু সেওয়াগ ছিলেন পুরানো ছন্দে। তাঁর আজ তেমন কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। একশতম টেস্টে একটা নজিরবিহীন উপহার হয়ত দিতে চেয়েছিলেন ভারতবাসীকে। কিন্তু মন্টির লোভনীয় হাফভলি বলে `নজফগড়ের নবাব` ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হলেন। তখন তাঁর রান চারটে বাউন্ডারির বিনিময়ে ৩০। ফিরতে হল মাস্টার ব্লাস্টার সচিনকেও। সেই মন্টি পানেসর! এক অবর্ণনীয় বলে লিটল মাস্টার একটু হলেও থমকালেন। ক্রিকেটের ঈশ্বরকে আউট করতে গেলে ঐশ্বরিক ডেলিভারি দরকার। সেটাই ঘটল ধোনির পচ্ছন্দসই ওয়াংখেরের পিচে। মাত্র ৮ রানে তিনি ফিরলেন। চেতাশ্বর পুজারা এখনও মাটি আঁকড়ে লড়ে যাচ্ছেন। তিনি অর্ধশতরান করে ফের প্রমাণ করে দিলেন ব্যাটিং অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় স্থানটি শুধুমাত্র তাঁর দখলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নমুখী হয়েছেন বিরাট কোহলি। যুবরাজ কোনও রান না করে সোয়ানের বলে আউট হলেন। অধিনায়ক ধোনি ২৯ রান করে পানেসরের বলেই ধরা দেন নিজেকে।
এর আগে স্পিনের স্বর্গক্ষেত্র ওয়াংখেড়ে টস জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাহীর বোলিং স্কোয়াডে স্পিনিং ট্র্যাকের সুবিধা নেওয়ার জন্য হাজির ৩ স্পিনার। ভারতের প্রথম ইনিংসের পর ওয়াংখেড়ের ভাঙা পিচে এই ৩ জনের বোলিং ম্যাজিকের উপর কিন্তু ভারতের জয় বেশ কিছুটা নির্ভরশীল।

.