শেষ ৩০ ওভারে ১৯০ রান, বাংলাদেশের ঘাড়ে রানের পাহাড় চাপাচ্ছে কোহলির ভারত
টেস্ট ম্যাচে যেন টি-২০-র গতিতে খেলেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩২ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন বাংলাদেশের ইমরুল কায়েস। সেই মায়াঙ্ক আগরওয়াল দিনের শেষে ২৩৪ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। ক্যাচ ফেলার বড়সড় খেসারত দিতে হল বাংলাদেশকে। নাগপুরে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ারের ক্যাচ ফেলেছিলেন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম। শ্রেয়স ওই ম্যাচে ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে যান। তিনটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ওই ম্যাচে। সেবারও ক্যাচ মিসের মাশুল গুনতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ওপেনার মায়াঙ্ক এদিন ৩২ রানের মাথায় ফার্স্ট স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ইমরুল।
টেস্ট ম্যাচে যেন টি-২০-র গতিতে খেলেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। পেসার আবু জায়েদ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনও বোলার ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। চার উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। প্রথম দিন ভারতীয় দল শেষ করেছিল ২৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করে। দ্বিতীয় দিনে ৮৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪০৭ রান তুলেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। শেষ সেশনে ৩০ ওভারে উঠেছে ১৯০ রান। শেষ ৩০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু রানের গতিতে কোনওরকম বাধা আসেনি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। জবাবে ভারতীয় দল তাদের উপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দিতে চলেছে। ছয় উইকেটে ৪৯৩ রান তুলেছে ভারত। সবে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে কোহলির ভারত।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের ত্রাস হলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল, করলেন কেরিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি
প্রথম ইনিংসের মুশফিকুর রহিম ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মুশফিকুর সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন। অধিনায়ক মুমিনুল হক করেন ৩৭ রান। বাংলাদেশের বাকি ব্যটসম্যানদের আয়ারাম-গয়ারামের মতো অবস্থা হয়েছিল। মহম্মদ শামি তিনটি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।