Kuldeep Yadav, IND vs SL: ইডেনের চেনা বাইশ গজে ফের ম্যাজিক দেখালেন কুলদীপ, সিরিজ জয়ের অপেক্ষায় টিম ইন্ডিয়া
আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে বিপক্ষকে প্রথম ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি নিলেন ৩০ রানে ৩ উইকেট। এরপর ইডেনের বাইশ গজে শুধুই রাজত্ব করে গেলেন কুলদীপ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একেই বলে আক্ষরিক অর্থে প্রত্যাবর্তন। প্রতিবেদনের প্রথম বাক্য পড়ে কোনও ক্রিকেট পন্ডিত তেড়ে আসতেই পারেন। কিসের কামব্যাক! কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) তো গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এরপর ছিল সেই একই বিপক্ষের বিরুদ্ধে টেস্টে চোখে তাক লাগিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৭৩ রানে ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পরেও তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। তাই ক্রমশ 'ব্রাত্য' হয়ে যাওয়া কুলদীপের প্রতিবার মাঠে নামা যেন কামব্যাক ম্যাচ! আর ভেন্যু ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens) হলে তো সেটায় সোনায় সোহাগা।
২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। শেষবার ক্রিকেটের নন্দনকাননে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) দলে তখন উজ্জ্বল তারা ছিলেন কুলদীপ। অজিদের বিরুদ্ধে করেছিলেন হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ৫০ রানে জিতেছিল ভারত। ছয় বছর পর ফের ইডেনে আয়োজিত হল একদিনের ম্যাচ। এবার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। যজুবেন্দ্র চাহাল (Yuzvenndra Chahal) চোট পেয়েছিলেন বলে এবার সুযোগ পেয়েছিলেন কুলদীপ। হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। তবে তাই বলে তাঁর পারফরম্যান্স ভুলে গেলে চলবে না। টানা আট ওভার হাত ঘুরিয়ে ফের নজর কাড়লেন। তাঁর বোলিং ফিগার (১০-০-৫১-৩)। তাঁর স্পিন ম্যাজিকেই শ্রীলঙ্কা খেই হারিয়ে ২১৫ অলআউট হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ফলে টি-টোয়েন্টির পর এবার সিরিজ জয়ের অপেক্ষায় টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: IND vs SL: চাহালের কাঁধে চোট! পয়া ইডেনে ফের নামলেন হ্যাটট্রিক করা 'ব্রাত্য' কুলদীপ
আরও পড়ুন: Rahul Dravid, IND vs SL: রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হলেও রোহিত-বিরাটদের সঙ্গে ইডেনে এলেন রাহুল দ্রাবিড়
আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে বিপক্ষকে প্রথম ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি নিলেন ৩০ রানে ৩ উইকেট। এরপর ইডেনের বাইশ গজে শুধুই রাজত্ব করে গেলেন কুলদীপ। হাইকোর্ট প্রান্ত থেকে হাত ঘুড়িয়ে বিপক্ষকে শেষ করলেন। দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ভাল জুটি বাঁধেন নুয়ানিদু ও কুশল মেন্ডিস। পেসাররা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। হার্দিক পান্ডিয়া ও উমরান মালিকের গতি ব্যবহার করে রান করতে থাকেন তাঁরা। নিজের অভিষেক ম্যাচেই অর্ধশতরান করেন নুয়ানিদু।