বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না খেললে প্রবল ক্ষতির হিসেব দিল আইসিসি

৩০ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বসছে বিশ্বকাপের আসর। ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হওয়ার ভারত-পাক ম্যাচ হওয়ার কথা। 

Updated By: Mar 2, 2019, 04:25 PM IST
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না খেললে প্রবল ক্ষতির হিসেব দিল আইসিসি

নিজস্ব প্রতিনিধি- বিসিসিআই নিজের অবস্থানে অনড়। আইসিসির উপর তারা ক্রমাগত চাপ বজায় রাখছে। ১৬ জুন বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ। পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর থেকেই এই ম্যাচ বয়কটের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এমনকী, বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানকে একঘরে করার জন্যও আইসিসির কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা। তবে এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত পাকা হয়নি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না হলে ঠিক কত টাকা ক্ষতি হতে পারে, জানাল আইসিসি। ফলে সেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে ভারত-পাক ম্যাচ আয়োজনের পক্ষে আইসিসি। বিসিসিআই ও পিসিবির মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে থাকার চেষ্টা করছে আইসিসি। তবে এখনও পর্যন্ত নাছোড়বান্দা বিসিসিআই। 

আরও পড়ুন-  উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ভারতীয় সমর্থককে হেনস্থা দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে

দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের দাবিকে সম্মান জানাতে আসরে নেমেছে বিসিসিআই। শেষ পর্যন্ত যদি বিসিসিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তা হলে কিন্তু বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আইসিসিকে। প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার। এমনিতে ভারত-পাক ম্যাচ মানেই হাইভোল্টেজ ব্যাপার। এমন ম্যাচে দর্শকের সংখ্যা বরাবর রেকর্ড সংখ্যক থাকে। ফলে সম্প্রচারকদের বড় লাভ হওয়ার আশা থাকে। তাই এই ম্যাচ বাতিল হলে আখেরে আইসিসির ক্ষতি।

আরও পড়ুন-  স্বামী শোয়েবের 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' টুইটের এবার জবাব দিলেন সানিয়া মির্জা

৩০ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বসছে বিশ্বকাপের আসর। ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হওয়ার ভারত-পাক ম্যাচ হওয়ার কথা। আইসিসির তথ্য অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ৩০-৪০ কোটি টাকা আসতে পারে টিকিট বিক্রি থেকে। প্রায় ১৩০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় হতে পারে টিভি সম্প্রচার, বিজ্ঞাপন থেকে। সবমিলিয়ে লাভের অঙ্কটা ১৭০ কোটি টাকার মতো। নিয়মানুযায়ী, পুরো অর্থ আইসিসির ঘরে জমা পড়ার কথা। আর সে জন্যই বিসিসিআইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে আইসিসি। এদিকে, এই ম্যাচ না হলে লোকসানের সম্মুখীন হতে পারে ভারতীয় বোর্ডও। কারণ, টিভি সম্প্রচারে বিজ্ঞাপনী আয়ে জিএসটির পরিমাণ বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। 

.