দুর্বল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খুঁড়িয়ে জয় ভারতের
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বুধবার নবাগত আফিগানিস্তানকে ২৩ রানে হারাল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার সঙ্গেই ভারতীয় বোলিং-এর নড়বড়ে কঙ্কালটা ভীষণ ভাবে সামনে চলে এল এই দিন। ক্রিকেট বিশ্বে যথার্ত অর্থে `শিশু` আফগানিদের বিরুদ্ধে ধোনি বাহিনীর জয় টা ভীষণ ভাবেই প্রত্যাশিত ছিল। তবে সেই সহজ জয় পেতে ভারতীয়দের যে এতটা কাঠ-খড় পোড়াতে হবে সেটার আশাও করেননি বোধহয় কেউই।
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বুধবার নবাগত আফিগানিস্তানকে ২৩ রানে হারাল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার সঙ্গেই ভারতীয় বোলিং-এর নড়বড়ে কঙ্কালটা ভীষণ ভাবে সামনে চলে এল এই দিন। ক্রিকেট বিশ্বে যথার্ত অর্থে `শিশু` আফগানিদের বিরুদ্ধে ধোনি বাহিনীর জয় টা ভীষণ ভাবেই প্রত্যাশিত ছিল। তবে সেই সহজ জয় পেতে ভারতীয়দের যে এতটা কাঠ-খড় পোড়াতে হবে সেটার আশাও করেননি বোধহয় কেউই। বিরাট কোহলির ব্যাটের উপর ভর করে ৫ উইকেটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৯ রান তোলে ভারত। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেলেও প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ানদের বিরুদ্ধে একবারের জন্যেও `নভিশ` লাগেনি আফগানিস্তানকে। বরং অভিজ্ঞতার নিরিখে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েই জয়ের থেকে ২৩ রান দূরে থমকে গেল আফগান বাহিনী।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই গত কয়েক ম্যাচের `প্রথা` মাফিক দ্রুত প্যাভিলিয়ন মুখী হয়েছিলেন বীরু-গতি জুটি। শুরুটা আশাজনক করেও ব্যক্তিগত মাত্র ১৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান যুবরাজ সিং। প্রত্যাবর্তণের শুরুয়াতটাও তাই স্মরণীয় হলনা যুবির। এই তিন মহারথীর অকাল বিদায়ের পর রক্ষকের ভূমিকায় আবারও সহ অধিনায়ক কোহলির মঞ্চে অবতরণ। ৩৯ রানে কোহলির অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে ভারত ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানের ভদ্রস্থ লক্ষ মাত্রা দাঁড় করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচের সেরাও তিনি। ভারতীয় ব্যাটিং বর্তমান ব্লু আইড বয় বিরাট কোহলিকে যোগ্য সঙ্গত দেন আর এক তরুণ তূর্কী সুরেশ রায়না। শেষ পাতে ১৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক ধোনি।
জবাবে খেলতে নেমে অপ্রাত্যাশিত ভাবে ভারতকে চাপের মুখে ফেলে দেয় আফগানরা। জাহির খান সহ বাকি দুই ভারতীয় পেসারকে বেশ স্বচ্ছন্দ্যেই খেলেতে শুরু করেন করিম সাদিক এবং আসগার স্টানিকজাই। কারিম যখন মোটামুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন তখন বল হাতে হাল ধরেন যুবি। তাঁর বলেই ব্যক্তিগত ২৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন করিম। ব্যাট হাতে সফল হতে না পারলেও বল হাতে কিন্তু কামাল করেন যুবরাজ। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তুলেনেন ৩ টে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর ১৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে আফগান ইনিংস থমকে গেলেও তাঁদের লড়াকু মানসিকতা উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকল।