৮৩-র স্মৃতি: গ্রিনিজকে আউট করেই বিশ্বকাপ জয়ের পথ মসৃণ করেছিলেন সান্ধু
বিশ্বজয়ের তিনদশক পরও আলোচনা হয় সান্ধু এই ধরনের সুইং আর করতে পারবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে ১৮৩ রানের পুঁজি। তৎকালীন সর্বশক্তিময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরূদ্ধে এই রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কিছুই নয়। মনমরা ভারতীয় দল। ফিল্ডিং করতে নামার আগে দলকে চাঙ্গা করতে কপিল টিম মিটিংয়ে বলেছিলেন, "আমাদের হাতে ১৮৩ রান আছে। চলো না লড়াই করি।" এই কথায় অদ্ভুতভাবে চার্জড হয়ে যায় ভারতীয় দল।
লর্ডসের বাঁ দিকে ছিল ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুম আর ডানদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্রেসিংরুম । প্রত্যেককে লংরুম অতিক্রম করে মাঠে নামতে হয়। ফিল্ডিং করতে নামার সময় লংরুমে কপিল বলবিন্দার সিং সান্ধুর কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, "তুই আমাকে প্রথম উইকেটটা তুলে দে। বাকিটা আমি দেখে নেব। আর রান বাঁচানোর চেষ্টা করিস না। অ্যাটাক কর।" সান্ধু বুঝেছিলেন উইকেট নেওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।
অধিনায়কের থেকে মানসিক জোর পেয়ে নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বল অর্থাৎ ১৩তম বলটি করতে আসেন নার্সারি এন্ড থেকে। ক্লোজ টু দ্য উইকেট থেকে বল করছিল। সবাই জানে নার্সারি এন্ড থেকে বল করা মানে আউট সুইং করা। কারণ এইদিক থেকে বাইশ গজটি হেলানো। এখান থেকে সবাই আউট সুইং করে। সান্ধু ক্লোজ টু দ্য উইকেটেও গেছে। কারণ সান্ধু গ্রিনিজকে বোঝাতে চেয়েছিলেন তোমাকে আউট সুইং করছি । কিন্তু বল করার সময় ইনসুইং করেছিলেন। ব্যস বোল্ড। গ্রিনিজ বহু জায়গায় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি আজও বুঝতে পারেন না কেন বলটা বিবেচনা করে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
বিশ্বজয়ের তিনদশক পরও আলোচনা হয় সান্ধু এই ধরনের সুইং আর করতে পারবে না। সেই প্রেক্ষাপটে বলে রাখি কয়েকমাস আগে ত্রিনিদাদে ডেটারেন্টদের একটি ম্যাচে সান্ধু '৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালে নিজের ১৩তম বলের মতো একটা ইনসুইং দিয়ে গ্রিনিজকে আউট করেছিলেন। সেদিনের সান্ধুর ইনসুইংটা কাকতলীয় নয়। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে অধিনায়কের কথা রেখেছিলেন ভারতীয় এই পেসার।
আরও পড়ুন- ৮৩-র স্মৃতি: গ্যালারি ভেঙে এই দৌড় কোথায় থেমেছিল জানেন?