হতাশায় আত্মহত্যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারের
আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ গোল্ডকাপে সুযোগ না পেয়েই সজীবুল আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান। বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলে ছিলেন সজীবুল। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা আমগাছি গ্রামের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সজীব।
নিজস্ব প্রতিনিধি: আত্মহত্যা করলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার সজীবুল ইসলাম। আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ গোল্ডকাপে সুযোগ না পেয়েই সজীবুল আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান। বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলে ছিলেন সজীবুল। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা আমগাছি গ্রামের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সজীব।
আরও পড়ুন- ''আপনি ক্রিকেটার, হিন্দুদের ধর্মগুরু নন'', বিরাট কোহলিকে নজিরবিহীন আক্রমণ
বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছাড়াও এশিয়া কাপের খেলেছিলেন সজীব। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসাবে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের হয়েও ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে বিদেশের মাটিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন সজীবুল। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-২০ গোল্ডকাপে অংশগ্রহণকারী দলের জন্য ক্রিকেটারদের একটি তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় সজীবের নাম ছিল না। ফলে সেই রাতেই হতাশ হয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। শনিবার রাতে নিজের ঘরে আত্মহত্যা করেন সজীবুল ইসলাম। রবিবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে সজীবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন সজীবুল।
পরিবারের দাবি, আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি গোল্ডকাপে ক্রিকেটারদের ড্রাফটে সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন সজীব। সে হতাশা থেকেই নাকি আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পরিবারের অনুরোধে সজীবের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। সজীবের দাদা জানান, অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে খেলেন সজীব। ভারতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৯৫ রানও করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতিও সারছিলেন জোরকদমে। ড্রাফটিংয়ে সুযোগ না পেয়েই হতাশায় মৃত্যুর পথ বেছে নেন উদীয়মান এই ক্রিকেটার। সজীবুলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটমহলে।