Lionel Messi, Argentina: কেন ৯০০ কেজি মাংস নিয়ে হোটেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে চলে গেল মেসির আর্জেন্টিনা? জেনে নিন
সারা বিশ্বে গরুর মাংস উৎপাদন, রপ্তানি এবং ভোগে শীর্ষে রয়েছে দুই দেশ উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। দেশ দুটির খাদ্যাভ্যাসেও গরুর মাংসের বিভিন্ন খাবারের উপস্থিতি থাকে। আর্জেন্টিনায় আবার মাংসের বারবিকিউ ও বিশেষভাবে তৈরি ‘আসাদো’ নামের একটি খাবার ব্যাপক জনপ্রিয়।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'খালি পেটে যুদ্ধ জেতা যায়না।' এই প্রবাদকে মেনে এগিয়ে চলছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। আর তাই বিলাস-বৈভবে মোড়া সাত তারা হোটেলকে বিদায় জানিয়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে শুরু করে দিল লিওনেল মেসির (Lionel Messi) দল। যাতে দেদার ‘বারবিকিউ’ করতে পারবেন তাঁরা। চেটেপুটে খেতে পারেন মাংসের বিভিন্ন পদ। অবশ্য এমন খাবার পেটে চালান করার জন্য নিজেদের দেশ থেকে নিয়ে এসেছে বিশেষ শেফ। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের (Saudi Arabia) বিরুদ্ধে কাপ যুদ্ধের অভিযান শুরু করবে আলবিসেলেস্তেদের।
সারা বিশ্বে গরুর মাংস উৎপাদন, রপ্তানি এবং ভোগে শীর্ষে রয়েছে দুই দেশ উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। দেশ দুটির খাদ্যাভ্যাসেও গরুর মাংসের বিভিন্ন খাবারের উপস্থিতি থাকে। আর্জেন্টিনায় আবার মাংসের বারবিকিউ ও বিশেষভাবে তৈরি ‘আসাদো’ নামের একটি খাবার ব্যাপক জনপ্রিয়। সাধারণত যেকোনো উৎসবে ‘আসাদো’ খাদ্য তালিকায় থাকেই। তাই মেসির দল সঙ্গে নিয়ে এসেছে ৯০০ কেজি গরুর মাংস।
কাতারে মাংসের অভাব নেই। কিন্তু তাতে মন ভরছে না ডি মারিয়া-ডিবালাদের। লাতিন আমেরিকায় যে মাংস পাওয়া যায়, তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলা হয়। আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের এক কর্তার বক্তব্য, 'আমাদের টিম দুনিয়ার সেরা। তাই তাদের জন্য সেরা মাংসও প্রয়োজন। এই কারণেই আমরা অন্য দলের মতো বিলাসবহুল হোটেলে থাকার বদলে এখানে থাকা বেছে নিয়েছি।'
আরও পড়ুন: Lionel Messi, FIFA World Cup 2022: বড় ধাক্কা! মহারণের আগে জোড়া চোটে জর্জরিত মেসির আর্জেন্টিনা
লাতিন আমেরিকায় বিভিন্ন বারবিউকিউ পদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘আসাদো’। জিভে জল আনা ‘আসাদো’ তৈরিতে হালকা পুর সহযোগে সাজানো হয় বিফ স্টিক, সসেজ। সঙ্গে থাকে মোটা দানার নুন। সেই মাংসকে যোগ্য সঙ্গত দেয় স্যালাড এবং অবশ্যই ওয়াইন। যদিও কাতারের নিয়ম মেনে মেসিদের মাংসের স্বাদ নিতে হবে ‘শুকনো’ গলাতেই। বৃহস্পতিবার সকালে দোহায় পা রেখেই লিওনেল স্কালোনি সদলবল সোজা চলে গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। সেখানে আর্জেন্টিনার জন্য ৯০টি ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক জিম, অলিম্পিকের নিয়ম মেনে প্রমাণ সাইজের সুইমিং পুল, দশ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট ফুটবল স্টেডিয়াম। আর্জেন্টিনা ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ-সহ বাকিদের থাকতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেল স্টুডেন্ট হাউজিং। ক্যাম্পাসের লবিটির যে নয়া রূপ দেওয়া হয়েছে, তা কোনও অংশে পাঁচতারা হোটেলের থেকে কম নয়। ওপেন এয়ার স্পেসে করা হয়েছে বারবিকিউ-র ব্যবস্থা।