Romelu Lukaku, FIFA World Cup 2022: হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারেনি, দুই ম্যাচে অনিশ্চিত রোমেলু লুকাকু
Romelu Lukaku, FIFA World Cup 2022: বেলজিয়ামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা লুকাকু। ১০২ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল। তবে সম্প্রতি মাঠে পারফরম্যান্সে মোটেও ভালো নয়। ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার আগের মতো বিপক্ষের জালে জড়াতে পারছেন না। গত বছর চেলসিতে তাঁর অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। চোট ছাড়াও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা লেগেই ছিল।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগে থেকেই জানা ছিল যে বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) শুরু থেকে দলকে সার্ভিস দিতে পারবেন না। আর ঠিক তাই হল। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারেনি। সেইজন্য বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের (Belgium) প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারবেন না রোমেলু লুকাকু (Romelu Lukaku)। আগামি ২৪ নভেম্বর কানাডার (Canada) বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বেলজিয়াম। এরপর ২৭ নভেম্বর ব্রায়েন হেইনেন, আলেক্সিস সালেমাকেরসদের প্রতিপক্ষ মরোক্কো (Morocco)। সেই দুটি ম্যাচে তারকা স্ট্রাইকারের খেলার সম্ভাবনা নেই। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
তবে তাঁকে বাদ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলার কথা ভাবতেই পারেননি রবের্তো মার্টিনেজ (Roberto Martinez)। চেলসি (Chelsea F.C) থেকে ইন্টার মিলানে (Inter Milan) আসা স্ট্রাইকারকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল গড়েছিলেন বেলজিয়ামের কোচ। কিন্তু লিগ পর্বের দুটি ম্যাচে লুকাকুকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে। ১ ডিসেম্বর ক্রোয়েশিয়া (Croatia) ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাঁকে। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
বেলজিয়ামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা লুকাকু। ১০২ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল। তবে সম্প্রতি মাঠে পারফরম্যান্সে মোটেও ভালো নয়। ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার আগের মতো বিপক্ষের জালে জড়াতে পারছেন না। গত বছর চেলসিতে তাঁর অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। চোট ছাড়াও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা লেগেই ছিল। সেই ঝামেলার প্রতিফলন ঘটেছিল ৯০ মিনিটের যুদ্ধে। ২৬ ম্যাচে তাঁর পা থেকে এসেছিল মাত্র ৮ গোল। এরপর চলতি বছর চেলসি থেকে লোনে পুরনো ক্লাব ইন্টার মিলানে ফিরেছিলেন। ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ইতালির এই ক্লাবের হয়েই ৭২ ম্যাচে ৪৭টি গোল করেছিলেন লুকাকু। কিন্তু এবার তিনি পুরনো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। চোটে বিপর্যস্ত লুকাকু সবমিলিয়ে খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ। গোলের সংখ্যা মাত্র ১।
এহেন লুকাকু-কে যে শুরু থেকে পাওয়া যাবে না, সেটা জানতেন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে থাকা দলের কোচ রবের্তো মার্টিনেজ। তাই লুকাকুর জায়গায় মিশরের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে মিচি বাতসুয়াইকে খেলিয়ে দেখে নিয়েছেন তিনি। চোট কাটিয়ে গত অক্টোবরে মাঠে ফেরার পর ইন্টারের হয়ে মাত্র দুটি খেলেই হ্যামস্ট্রিয়ের চোটে আবার ছিটকে যান লুকাকু। এখন শোনা যাচ্ছে লুকাকু প্রথম দুটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
লুকাকু তাঁর চোট সারিয়ে কি বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন? সেটা নিয়ে বেলজিয়াম শিবির থেকে কোনও মন্তব্য করা হচ্ছে না। তবে দলের রিজার্ভ বেঞ্চে চারজন ফুটবলারকে রেখেছেন রবের্তো মার্টিনেজ। তাঁরা হলেন ব্রায়েন হেইনেন, আলেক্সিস সালেমাকেরস, দোদি লুকেবাকিয়ো, জেসন দিনায়ার। ২৬ জনের দলের কেউ যদি নিজেদের প্রথম ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে ফিট না থাকেন, তাহলে এই চার জন থেকে বদলি নেওয়া যাবে। শুধু তাই এই চারের মধ্যে যে কোনও একজন লুকাকুর বদলি হয়ে কাপ যুদ্ধের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারেন।
বেলজিয়াম স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: থিবো কুর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ), সিমোন মিনোলে (ক্লাব ব্রুজ), কুন কাসতিলস (ভলফসবুর্ক)
ডিফেন্ডার: ইয়ান ভার্টোনেন (আন্ডারলেখট), টবি আল্ডারভাইরেল্ড (রয়্যাল এন্টওয়ার্প), লিয়ান্দার দেন্দোনকার (অ্যাস্টন ভিলা), জিনো দেবাস্ত (আন্ডারলেখট), আর্থুর থিয়াটে (রেন), ভাউট ফাস (লেস্টার সিটি)
মিডফিল্ডার: হান্স ভানাকেন (ক্লাব ব্রুজ), অ্যালেক্স উইটসেল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ইউরি তিলেমান্স, আমাদু ওনানা, কেভিন ডে ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি), ইয়ানিক কারাসকো (আতলেতিকো মাদ্রিদ), তোরগ্যান আজার (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), টিমোটি কাস্টানিয়া (লেস্টার সিটি), তমা মুনিয়ে (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)।
ফরোয়ার্ড: রোমেলু লুকাকু (ইন্টার মিলান), মিচি বাতসুয়াই (ফেনেরবাচ), লুইস ওপেন্দা (লঁস), চার্লস ডে কেটেলারে (এসি মিলান), এডেন হ্যাজার্ড (রিয়াল মাদ্রিদ), জেরেমি ডকু (রেন), ড্রিস মের্টেন্স (গালাতাসারায়), লিয়ান্দ্র ত্রোসার (ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন)।