'এই স্টেডিয়াম আমাদের রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল', বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখে অভিভূত পরিযায়ী শ্রমিকরা

প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে দোহা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের পরিচয় আল বায়াত স্টেডিয়াম তৈরির কারিগর তাঁরাই। সকলেই যাতে উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে পারেন, তাঁর জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি করা হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। 

Updated By: Nov 23, 2022, 03:39 PM IST
'এই স্টেডিয়াম আমাদের রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল', বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখে অভিভূত পরিযায়ী শ্রমিকরা
ফোটো- টুইটার

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে তখন প্রবল উত্তেজনা। ঘড়ির কাঁটায় একদম সময় মিলিয়ে শুরু হল ফুটবল বিশ্বকাপ। সবার নজর তখন কাতারের এই স্টেডিয়ামের দিকে। ওদিকে প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে দোহা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের পরিচয় আল বায়াত স্টেডিয়াম তৈরির কারিগর তাঁরাই। সকলেই যাতে উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে পারেন, তাঁর জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি করা হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনে খেলা দেখতে দেখতে স্টেডিয়াম তৈরির দিনগুলো রোমন্থন করেছিলেন এই শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন, Watch | FIFA World Cup 2022 Opening Ceremony: অত্যন্ত ম্যাড়ম্যাড়ে অনুষ্ঠান! শুরুতেই চূড়ান্ত হতাশ করল কাতার

শহরের বাইরে শিল্পাঞ্চলে যে বিশেষ ফ্যান জোন গড়ে তোলা হয়েছে, যে সমস্ত শ্রমিকরা স্টেডিয়ামের মধ্যে জায়গা পাননি তাদের জন্য তৈরি হয়েছিল জায়ান্ট স্ত্রিন। সেই টিভির পর্দাতেই চোখ রাখলেন শ্রমিকরা। উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে আল বায়াত স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ২৫ বছরের রোনাল্ড সেনইয়েন্ডো। কল্পনাও করতে পারিনি যে স্টেডিয়াম তৈরি করতে রক্ত আর ঘাম ঝড়েছিল, সেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সুযোগ পাব। স্টেডিয়াম বানানো শেষ, এবার পরবর্তী কাজ খুঁজতে থাকা রোনাল্ড আরও বলছেন, ''আমাদের রক্ত-ঘামের ফসল আমরা উপভোগ করতে এসেছি।'' রোনাল্ড দুই বছর ধরে কাতারে রয়েছেন। টুর্নামেন্টটি যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে সে কারণে স্টেডিয়াম তৈরিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে যে কর্তৃপক্ষ নিম্ন আয়ের কর্মীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা স্টেডিয়াম এবং হোটেল তৈরি করেছেন বিশ্বকাপের সমর্থকদের জন্য তারাই বাড়তি কাজ, অবৈতনিক কাজ এবং খারাপ জীবন যাপন করেছে। বছর ২৬-র আলি জাম্মাল প্রায় ৫ বছর ধরে কাতারে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ইথিওপিয়ায় বোন ও ভাইদের টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। আর আমি এখানে এসেছি কারণ টিকিট অনেক বেশি।

নেপালের এক নার্স বলেন, হাসপাতালে দীর্ঘ শিফটের জন্য তিনি আর কোনও ম্যাচ দেখতে পারবেন না। এ বছরের শুরুতে কাতারে কর্মরত ২৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ আনসার বলেন, আসন্ন দুই ম্যাচে ফিফার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। তবে রবিবার, তিনি তার সহকর্মী কর্মীদের সঙ্গে জায়ান্ট স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে পেরেছেন। যদিও কাতারের পরাজয় ছিল হতাশার।

আরও পড়ুন, FIFA World Cup 2022: ফুটবল বিশ্বকাপের সময়ে কাতারে আমন্ত্রিত জাকির নাইক, কী করবেন এই ইসলাম প্রচারক?

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.