আশীষ নেহরার ফেসবুক পেজ!
তিন নিজেই বলেছেন, ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টগ্রাম জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নেই। এখনও তিনি সেই পুরনো মডেলের নোকিয়া ফোনই ব্যবহার করেন। মোহালিতে অসি বধে কোহলি যদি মহানায়ক হন, তাহলে নেহরা অবশ্য পার্শ্বনায়ক তো বটেই। সেই নেহরার যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকত, তাহলে তাতে তিনি কী লিখতেন? দেখে নিন সেটাই
ওয়েব ডেস্ক: তিন নিজেই বলেছেন, ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টগ্রাম জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নেই। এখনও তিনি সেই পুরনো মডেলের নোকিয়া ফোনই ব্যবহার করেন। মোহালিতে অসি বধে কোহলি যদি মহানায়ক হন, তাহলে নেহরা অবশ্য পার্শ্বনায়ক তো বটেই। সেই নেহরার যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকত, তাহলে তাতে তিনি কী লিখতেন? দেখে নিন সেটাই
তারিখ ১ জুন, দুপুর ২টো
আরও একটা ভাল আইপিএল সেশন কাটালাম। বন্ধুরা বলল এবার অবসর নিয়ে ফেল। পরিবারকে সময় দে। নিজে ইজিপ্টের মমি, আফ্রিকার জঙ্গল দেখে আয়। ক্রিকেটের বাইরে জীবনটা উপভোগ কর। আমি শুধু হেসে উড়িয়ে দিলাম। আমি জানি দেশকে বাইশ গজে দেওয়ার মত আমার অনেক কিছু আছে।
৮ জানুয়ারি, ২০১৬
আজ একটু টেনশনে আছি। পাঁচ বছর পর ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলব। মুখে যতই বলি, একটা সময় মনে হয়েছিল আর বোধহয় হল না। একটা জিনিস মনে হচ্ছে হাল না ছাড়লে, একটা পুরস্কার থাকেই। কাল ডারবানে খেলতে নামছি। নির্বাচক, অধিনায়কদের বিশ্বাসের দাম দিতেই হবে। আরও আরও পরিশ্রম করব।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এখন আমি অস্ট্রেলিয়ায়। এই সফরটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভাল বল করতে না পারলে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যাবে।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
অস্ট্রেলিয়া সফরটা দারুণ গেল। তিনটে টি২০-তেই জিতলাম আমরা। যদিও অস্ট্রেলিয়া দারুণ ফাইট দিল। বিশ্বকাপে ওরা কিন্তু আমাদের গ্রুপেই আছে।
১৮ মার্চ, ২০১৬
কাল ইডেনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামছি। এটা দলের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ। আমার কাঁধে অনেক দায়িত্ব। ওদের দলে অনেক ভাল ব্যাটসম্যান আছে। জানি, একটা ছোট ভুল ম্যাচের ফল উল্টে দিতে পারে। বেসিকগুলো ঠিকঠাক করতেই হবে।
২৩ মার্চ, ২০১৬
এত খুশি জীবনে হয়নি। কী দারুণ একটা ম্যাচ জিতলাম। হার্দিকের শেষ ওভারটা আজীবন মনে থাকবে। ধোনির কোনও জবাব নেই। যেভাবে শেষ বলে গ্লাভস খুলে ও ছুটে রান আউট করল সেটা অবিশ্বাস্য। জয়ের পর ওর কোলে উঠে পড়লাম। সবাই জিজ্ঞাসা করছে শেষ ওভারে হার্দিক, ধোনির সঙ্গে কী আলোচনা হল। না, এটা বলব না। টিমের ব্যাপার টিমমেটদের মধ্যে থাকাই ভাল। তবে হার্দিককে বলেছিলাম চাপমুক্ত হয়ে বেসিকটা মনে করে বলটা কর।
২৭ মার্চ, ২০১৬
টিম হোটেলে ফিরে এসেছি। এখনও কেমন ঘোরের মধ্যে আছি। ঘোরটা কাটছে না। ঘোরটা কাটাতেও চাই না। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু এত চাপের মধ্যে এত ভাল ইনিংস কাউকে খেলতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। সবাই বলছে আমি নাকি দলের বোলিং ক্যাপ্টেন হয়ে গিয়েছি। আসলে আমি চেষ্টা করছি আমার অভিজ্ঞতাকে টিমের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে। তাই বারবার কখনও হার্দিক, কখনও বোমরার কাছে ম্যাচের মাঝে ছুটে যাচ্ছি।