ইস্টবেঙ্গল সদস্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধার্ঘ, অর্ধনমিত লাল-হলুদ পতাকা
সোমবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে লাল-হলুদ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সোমবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে লাল-হলুদ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ পেয়েছিলেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন লাল-হলুদ কর্তারা। গতবছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
রবিবারও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। লাল-হলুদ পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
সোমবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে লাল-হলুদ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ক্লাবের তরফ থেকে সচিব কল্যাণ মজুমদার শোকবার্তায় জানান,
"সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
(১৯৩৫ - ২০২০)
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শুধু একটি নাম নয়, বাংলা চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক জগতের ধ্রুবতারাও বটে। সত্যজিৎ রায়ের অপু হয়ে পথ চলা শুরু করে, ফেলুদার মগজাস্ত্র ব্যবহার করে, ক্ষিদ্দার লড়াই ও ময়ূর বাহনের মধ্যে বাঙালি খোঁজ পেয়েছে তাদের প্রাণের মুখ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। শুধু ক্যামেরার সামনে নয় - নাট্যমঞ্চ, নাট্য পরিচালনা, সাহিত্য ও কবিতার জগতেও ছিল তাঁর উজ্জ্বল বিচরণ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর অনুপ্রেরণা আর মানুষের উৎসাহ ছিল তাঁর ছায়াসঙ্গী। বাঙালির অপু, বাঙালির ফেলুদা, বাঙালির উদয়ন পণ্ডিত নিজে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লড়াইয়ের ফুটবলের অনুরক্ত। লাল হলুদ জার্সি র প্রতি ছিল তাঁর 'চাপা আকর্ষন'। পঞ্চ পাণ্ডবের খেলা দেখে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতি তৈরি হয়েছিল এক 'সুপ্ত গৌরব' বোধ এবং ক্লাবের সেই ফরওয়ার্ড লাইন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁকে দিতো 'বিদ্যুতের চমক'।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আজীবন সদস্য, আমাদের সকলের প্রাণের গৌরব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জানায় মর্মাহত হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। ফেলুদা-রা যান না, রয়ে যান সকলের হৃদয়ে, সকলের ভালোবাসায়।"
আরও পড়ুন - হেমন্তের এলোমেলো হাওয়ায় আজ মনখারাপের দিন সচিনের!