যুবরাজের সফল প্রত্যাবর্তনের দিনে পরাজয় ভারতের
ভাইজাগে কামব্যাকে বাধ সেধেছিল বৃষ্টি। কিন্তু চেন্নাইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েই আবার স্বমূর্তিতে যুবরাজ সিং। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে অনবদ্য ৩৪ রানের একটি ইনিংস উপহার দিলেন যুবি। কিন্তু তাঁর রাজকীয় প্রত্যাবর্তনও আটকাতে পারল না ভারতের পরাজয়।
ভাইজাগে কামব্যাকে বাধ সেধেছিল বৃষ্টি। কিন্তু চেন্নাইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েই আবার স্বমূর্তিতে যুবরাজ সিং। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে অনবদ্য ৩৪ রানের একটি ইনিংস উপহার দিলেন যুবি। কিন্তু তাঁর রাজকীয় প্রত্যাবর্তনও আটকাতে পারল না ভারতের পরাজয়। চিপকে নিউজিল্যান্ডের কাছে মঙ্গলবার ১ রানে হেরে গেল ভারত। ২ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় সিরিজ খোয়াতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।
দীর্ঘ ন`মাস তিন সপ্তাহ পড়ে ভারতের নীল জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে খেলতে নেমেছিলেন যুবি। গত বছর মার্চ মাসে ইংল্যান্ড সফরের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানা যায় তাঁর ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। চলতি ভাষায় যাকে আমরা ক্যান্সার বলেই জানি। এরপরেই শুরু হয় চিকিৎসা। চলতি বছরের মার্চ মাসে কেমো থেরাপির অসহ্য দহনকে অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসেন যুবরাজ। তাঁর সুস্থ হয়ে ফিরে আসাতে প্রাথমিক ভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দেশবাসী। কিন্তু তার সঙ্গেই একটা প্রশ্ন ভাসতে থাকে ক্রিকেট জগতে। আর কি কোনদিনই মাঠে দেখা মিলবে যুবরাজ ম্যাজিকের? সংশয়ের মেঘ জমে প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট বোদ্ধাদের সঙ্গে আম জনতার মনেও। মঙ্গলবার এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চিপকের ময়দানে চেনা `যুবরাজকীয়` ভঙ্গিমাতেই সফল ভাবে ফিরে এলেন সওয়া ৬ ফুটের এই ভারতীয়।
বল হাতে অবশ্য সেই ভাবে সফল হতে পারেননি তিনি। ২ ওভার বল করে দেন ১৪ রান। বালজির বলে জেমস্ ফ্র্যাঙ্কলিনের ক্যাচ যুবরাজের হাতে জমা পড়ায় গর্জন করে ওঠে চিপকের দর্শক। ব্যাট হাতে আবার দেখা মেলে সেই চেনা যুবরাজের। ১ টা চার আর ২টো ৬ দিয়ে সাজানো যুবির ইনিংস ভারতের বৈতারণী পাড় করে দিতে না পারলেও আর একবার তাঁর জাত চিনিয়ে দিয়ে গেল।
মঙ্গলবার চিপকে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ব্র্যান্ডন ম্যাককুলাম। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম ইরফান পাঠান। তিনি ৩টে উইকেট নিয়েছেন। ভারতের পক্ষে গম্ভীর আর কোহলি ওপেন করতে নামেন। দলগত ১৯ রানের মাথায় প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান গম্ভীর। এরপর কোহলি আর রায়না ভারতের ব্যাটিং এর হাল ধরেন। তবে কোহলি আর রায়না ফিরে গেলে কিছুটা মন্থর হয়ে যায় ভারতের রানরেট। যুবি আর ধোনি শেষ চেষ্টা করলেও যুবরাজের আউট হওয়ার সঙ্গেই ভারতের জেতার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকটাই। শেষতম ওভারে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানেই আটকে যায় ভারত। হার হয় মাত্র ১ রানে।