দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার, রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরাই মনোজ-অভিমন্যুদের
চতুর্থ দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে চাপেই ছিল বাংলা। শেষবেলায় মনোজ তিওয়ারির উইকেট কাজ আরও কঠিন করে দেয়। পঞ্চম দিন সকালে শুরুতেই অনুষ্টুপ মজুমদারকে হারায় বাংলা।
মধ্যপ্রদেশ: ৩৪১ ও ২৮১
বাংলা: ২৭৩ ও ১৭৫
১৭৪ রানে জিতে মধ্যপ্রদেশ চলে গেল ফাইনালে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বাংলার! জেতার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজন ছিল ৩৫০ রানের। কিন্তু বাংলার ইনিংস থেমে গেল মাত্র ১৭৫ রানে রানে। মধ্যপ্রদেশের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়। চতুর্থ দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল বাংলা। শেষবেলায় মনোজ তিওয়ারির উইকেট কাজ আরও কঠিন করে দেয়। পঞ্চম দিন সকালে শুরুতেই অনুষ্টুপ মজুমদারকে হারায় বাংলা। লাঞ্চের পর ৭৮ রানে ফিরে যান অভিমন্যু। তারপর থেকে আর কোনও ভাবেই দাঁড়াতে পারেননি বাংলার ব্যাটাররা।
পঞ্চম দিনে ব্যাট করা সহজ ছিল না একেবারেই। পিচে বল টার্ন হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ছিল আনইভেন বাউন্স। সেখানেই মধ্যপ্রদেশের কুমার কার্তিকেয় এবং সারাংশ জৈনকে খেলতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল বাংলার ব্যাটারদের। তবে ফের একবার বাংলার স্বপ্নভঙ্গের মূল কারণ ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসেও টপ অর্ডার ব্যাটাররা কেউ রান পাননি। মনোজ তিওয়ারি ও শাহবাজ আহমেদের জোড়া শতরানে কিছুটা মানরক্ষা হলেও, প্রথম ইনিংস লিড পাওয়া যায়নি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে রান পাননি অভিষেক রমন, অভিমন্যু ঈশ্বরন, সুদীপ ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিষেক পোড়েলরা। সেমিফাইনালের মত ম্যাচে প্রথম ইনিংসে এতজন ব্যাটারের একসঙ্গে ব্যর্থতা কাজ নিশ্চিতভাবেই কঠিন করে দেয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে ফিরে যান অভিষেক রামন। এরপর ঈশ্বরণ ও সুদীপ ৪৯ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়লেও তা কখনও যথেষ্ট ছিল না। ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফিরে যান সুদীপ। এরপর আর কোনো পার্টনারশিপই হয়নি। একটি দিক অভিমন্যু ধরে রাখলেও উল্টোদিক থেকে ব্যাটাররা কোনো সহযোগিতা করতে পারেননি। অভিমন্যু ফিরে যাওয়ার পর বাংলার হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয় ইনিংসেও অধিনায়কের বাইরে কেউই দাঁড়াতে পারেনি। শেষদিকে আকাশদীপ ও শাহবাজ চেষ্টা করলেও লক্ষ্য অত্যন্ত কঠিন ছিল তাদের পক্ষে।
ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কথা বাংলার কোচ অরুণ লাল বা সহকারী কোচ সৌরাশিষ লাহিড়ী আগেই বলেছিলেন। লিগ পর্যায়ে মাত্র একটিই শতরান ছিল বাংলার। বেশীরভাগ ম্যাচেই বোলাররাই ম্যাচ জিতিয়েছেন। ব্যতিক্রম ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রতিবারই একই সমস্যায় পড়তে হয় বাংলাকে। ব্যাটিং না শুধরোলে রঞ্জি জয় সম্ভব যে হবে না তা এতদিনে নিশ্চয় বুঝেছেন বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: Rishabh Pant-Sunil Gavaskar: '১০ বার ভুল করেও কোনও শিক্ষা নেয়নি!' পন্থের উপর ফুঁসছেন গাভাসকর
আরও পড়ুন: MS Dhoni-র নাম রেকর্ড থেকে মুছে দিয়ে নিজের নাম লিখলেন Dinesh Karthik