ইন্দোরে হেরে রনজি জয়ের প্রতীক্ষা আরও বাড়ল বাংলার, ঋদ্ধির শতরানেও তিন দিনেই খেল খতম লক্ষ্মীদের
সাত বছরের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হল। এবারও রনজি ট্রফির ফাইনালে ওঠা হল না বাংলার। ইন্দোরে সেমিফাইনালে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হেরে গেল লক্ষ্মীরতন শুক্লর দল। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বাংলার স্বপ্ন শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। আজ তাতেই সরকারি সিলমোহর পড়ে গেল। ১০ উইকেটে হেরে বাংলার অভিযান শেষ হয়ে গেল। এবারও ক্রিকেটে ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্ন ঘুমেই সীমাবদ্ধ থাকল।
বাংলা-১১৪, ৩৪৮
মহারাষ্ট্র-- ৪৫৫, ৮/০
সাত বছরের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হল। এবারও রনজি ট্রফির ফাইনালে ওঠা হল না বাংলার। ইন্দোরে সেমিফাইনালে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হেরে গেল লক্ষ্মীরতন শুক্লর দল। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বাংলার স্বপ্ন শেষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। আজ তাতেই সরকারি সিলমোহর পড়ে গেল। ১০ উইকেটে হেরে বাংলার অভিযান শেষ হয়ে গেল। এবারও ক্রিকেটে ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্ন ঘুমেই সীমাবদ্ধ থাকল।
সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে দারুণ একটা লড়াকু ইনিংস খেললেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। জাতীয় দলে এই আছেন-এই নেই তালিকায় থাকা ঋদ্ধির ইনিংসটা ছিল দেখার মত। শেষ অবধি ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন শিলিগুড়ির ছেলে পাপালি। কিন্তু আফশোস একটাই বাংলার আর কোনও ব্যাটসম্যান সেটা বুঝলেন না।
অভিষেক হওয়া কৌশিক ঘোষ (৯) থেকে অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৬) এমনকী লক্ষ্মীরতন শুক্ল (১০) সবাই ব্যর্থ। ঋদ্ধির সঙ্গে লড়লেন শুধু সুদীপ চ্যাটার্জি (৪৯)। শেষ অবধি ঋদ্ধির লড়াকু ইনিংসে ইনিংস হার বাঁচল। আর টি ২০ বিশ্বকাপে তাঁর বদলে পার্থিব প্যাটেল সুযোগ দেওয়ার জবাবটাও দিলেন ঋদ্ধি। তাতে অবশ্য আফশোস যাচ্ছে না দেশের হয়ে ২ টেস্ট-৩টি ওয়ানডে খেলা বাংলার উইকেটকিপারের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল বলে জানালেন ঋদ্ধি।
২০০৬-০৭ মরসুমে শেষবার রনজির ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। সেবার অবশ্য ফাইনালে উঠেও মুম্বইয়ের কাছে হেরে কাপ জেতা হয়নি। অন্যদিকে, এই ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম রনজি ফাইনালে উঠল মহারাষ্ট্র।