বোনাস পয়েন্ট দূরে থাক, জিততেই পারল না বাংলা
চার বছর পর বোনাস পয়েন্ট সহ জয়ের আশা দেখা হচ্ছিল যে ম্যাচে সেটাতে জিততেই পারল না বাংলা। মঙ্গলবার বাংলা ক্রিকেটের অমঙ্গল ডেকে আনলেন অখ্যাত ব্যাটসম্যান রুজুল ভাট। অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলে রুজুল বাংলার জয়ের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিলেন। গুজরাতের দ্বিতীয় ইনিংসে সব কটি উইকেট ফেলতে না পারায় তিন পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মনোজ তিওয়ারির দলকে।
গুজরাত: ২৬০, ২৭২/৮। বাংলা: ৫২৬/৭
চার বছর পর বোনাস পয়েন্ট সহ জয়ের আশা দেখা হচ্ছিল যে ম্যাচে সেটাতে জিততেই পারল না বাংলা। মঙ্গলবার বাংলা ক্রিকেটের অমঙ্গল ডেকে আনলেন অখ্যাত ব্যাটসম্যান রুজুল ভাট। অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলে রুজুল বাংলার জয়ের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিলেন। গুজরাতের দ্বিতীয় ইনিংসে সব কটি উইকেট ফেলতে না পারায় তিন পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মনোজ তিওয়ারির দলকে।
ইডেনে আজ রুজুলের সঙ্গে বীরের লড়াই লড়লেন বোলার রাকেশ ধ্রুব (৮৩)। দিনের শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে অবশ্য মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে বাংলার বোনাস পয়েন্ট সহ জয় নিশ্চিত। গুরজরাতের স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১০৩। সেখান থেকে মহাকাব্যিক জুটি বাঁধলেন রুজুল-ধ্রুব। অষ্টম উইকেটে শুধু সময় বাঁচানোর খেলায় খেললেন না দুজনে সঙ্গে যোগ করলেন ১৪৯ রান। সামী যখন ধ্রুবকে ফেরালেন তখনও ম্যাচ জেতার একটা সুযোগ ছিল। স্কোরবোরডে তখন লেখা গুজরাট ২৫২/৮। কিন্তু সব আশায় জল ঢাললেন সেই রুজুল। ম্যাচ শেষে পার্থিবদের মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি। আর সিএবি জুড়ে শোকের পরিবেশ।
রঞ্জির তৃতীয় ম্যাচের শেষ বাংলার পয়েন্ট দাঁড়াল ৬। অথচ এমন একটা ম্যাচে যেখানে বিপক্ষকে হাতের মুঠোয় পাওয়া গেছিল, সারাদিনে শেষের দিকের মাত্র ছয়জনকে ফেরাতে পারলেই বোনাস পয়েন্ট মানে সাত পয়েন্ট পাওয়া যেত সেই ম্যাচে বাংলার বোলাররা হতাশ করলেন। পঞ্জাব ম্যাচ হেরে কাঠগোড়ায় উঠেছিলন বাংলার ব্যাটসম্যানরা, আর গুজরাতের বিরুদ্ধে `নৈতিক হার` এর দায় পড়ল বোলারদের কাঁধে। সব মিলিয়ে এবারের রঞ্জিটাও হয়তো বাংলাকে হতাশ করবে। অন্তত শুরুর তিনটে ম্যাচ সেইরকম ইঙ্গিতই করছে।