Ben Stokes, Harsha Bhogle: দীপ্তিকে নিয়ে এবার ধুন্ধুমার! স্টোকস-ভোগলের শুরু ভয়ংকর যুদ্ধ
দেখতে গেলে ব্রিটিশ মিডিয়ার কাছে দীপ্তি খবরের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটিশ মিডিয়াকে একহাত নিয়ে আটটি ট্যুইট করেছেন হর্ষ ভোগলে ( Harsha Bhogle)। ক্রিকেট পণ্ডিত হর্ষর ট্যুইট ধরে ধরে এবার পাল্টা দিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন ও সুপারস্টার অলরাউন্ডার বেন স্টোকস (Ben Stokes)।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিম ইন্ডিয়ার স্পিনার দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma) 'মানকাডিং' (ক্রিকেটীয় আইন মেনে যদিও এই শব্দের আর কোনও অস্তিত্ব নেই) করে রান-আউট করেছেন ইংল্যান্ডের চার্লি ডিনকে (Charlie Dean)। এরপর থেকেই বাইশ গজে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রানআউট। সদ্যসংশোধিত আইসিসি-র (ICC) নিয়মে মানকাডিং বৈধ বলেই স্বীকৃত হয়েছে। রাখা হয়েছে রানআউটের ক্যাটেগরিতে। এরপরেও ইংল্যান্ডের একাধিক বর্তমান থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা দীপ্তিকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই দিয়েছেন। দেখতে গেলে ব্রিটিশ মিডিয়ার কাছে দীপ্তি খবরের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটিশ মিডিয়াকে একহাত নিয়ে আটটি ট্যুইট করেছেন হর্ষ ভোগলে ( Harsha Bhogle)। ক্রিকেট পণ্ডিত হর্ষর ট্যুইট ধরে ধরে এবার পাল্টা দিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন ও সুপারস্টার অলরাউন্ডার বেন স্টোকস (Ben Stokes)।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
ভোগলে লিখেছেন, 'এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর যে, ব্রিটিশ মিডিয়ার বৃহদাংশ একটি মেয়েকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, যে ক্রিকেটের নিয়ম মেনে খেলেছে। সে এমন কেউ নয় যে, নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নিয়ে অপরাধ করাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। এটা ইংরেজদের সংস্কৃতিতে ঢুকে গিয়েছে, যেহেতু তারা ক্রিকেট বিশ্বের একটা বড় অংশ শাসন করেছে। তারা সবাইকে বোঝাচ্ছে এটা ভুল। কলোনিয়াল আধিপত্য এক সময় এতই শক্তিশালী ছিল যে, কেউ প্রশ্নও তুলেছিল। ভুলটা ভুলই। সেটা বাকি ক্রিকেট বিশ্বের জন্যও। যেমনটা অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে। ওদের সীমানা ওদের কাছে ঠিক। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে নয়। বাকিরা মানতে বাধ্য নয়। আমারও অপরাধী। মানুষ বসে যখন একে অপররে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিচার করে, ইংল্যান্ড চায় যে, বাকি বিশ্বও যেন নন-স্ট্রাইকার্সদের রান আউট করার ব্যাপারটা না মানে। ওরা দীপ্তিকে খোঁচা দিয়ে অপমানজনক কথা বলছে' হর্ষর ট্যুইট ধরে ধরে স্টোকস লেখেন, 'হর্ষ মানকাড নিয়ে ব্যক্তিগত মতামতে কি সংস্কৃতি আনা উচিত? ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইানাল ২ বছর আগে হয়ে গিয়েছে। আমি আজও অগুণিত মেসেজ পাই, ভারতীয় ফ্যানদের থেকে যে, ওই ঘটনা কি আমায় বিব্রত করে? এটা কি সাংস্কৃতিক বিষয়? একেবারেই নয়। আমার ওই ওভারথ্রো নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের থেকে মেসেজ পাই। সবাই মন্তব্য করে। শুধু ইংরেজরাই নয়, সারা বিশ্ব এই নিয়ে কথা বলছে। ইংল্যান্ডই একমাত্র ক্রিকেটীয় দেশ নয় যে, যারা এই আউট নিয়ে কথা বলছে।'
দীপ্তির মানকাডিং নিয়ে বিতর্কের পর এমসিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'এমসিসি চলতি বছর ক্রিকেটীয় আইনে যে সংশোধন এনেছে, সেখানে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়ানো ব্যাটারের রান-আউটকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইনের ৪১ ধারায় আনফেয়ার প্লে-কে ৩৮ ধারায় রান আউট করা হয়েছে। এই পরিবর্তন আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী ১ অক্টোবর বলবৎ হবে। ব্যাটারদেরই দায়িত্ব, তারা যেন ক্রিজের মধ্যে থাকে। বোলার বল রিলিজ করার আগে, তারা যেন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে না আসে। পরিস্কার এই আইন। আম্পায়ারদের সহজেই সকল রকমের খেলায় বিষয়টি বুঝে নেওয়া দরকার এই মুহূর্তে। ক্রিকেটের স্পিরিটে কোনও পার্থক্য নেই কোথাও। এমসিসি প্রশংসা করছে তাদের, যারা বিশ্বের ভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ম প্রয়োগ করেছে। সম্মানের সঙ্গে বিতর্ক স্বাস্থ্যকর। তা চলতে থাকবে। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতেই এটা দেখা হবে, কেউ বলবে বোলার খেলার স্পিরিট মানছে না। কেউ আবার বলবে ব্যাটার নন-স্ট্রাইকারে থাকার জন্য আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে। এমসিসি নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়ানো ব্যাটারদের এটাই বলবে, তারা বোলারের হাত থেকে বল বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত যেন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে না আসে। যেরকম আউট গতকাল হয়েছে। সেটা হতে পারে না। গতকাল অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচের শেষ হয়েছে। যদিও যথাযথ ভাবে তা দেখা হয়েছে। এই নিয়ে বেশি কিছু ভাবা হবে না।' এমসিসিও জানিয়ে দিল যে, দীপ্তি ঠিক। বাকিরা ভুল।