ফিক্সিং রোধে নতুন আইনের পথে কেন্দ্র, কুর্শি ছাড়তে নারাজ শ্রীনি

এবার যেকোনও রকম খেলায় গড়াপেটা রুখতে কড়া আইন আনার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বাল। আজ সাংবদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন খুব দ্রুত এই আইন আনতে চলেছে সরকার। এই বিষয়ে বিরোধীদের সমর্থনও আশা করেছেন তিনি। তবে চলতি গড়াপেটা কাণ্ডে বিসিসিআইয়ের তদন্তে কোনও সরকার নাক গলাবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি। 

Updated By: May 25, 2013, 10:31 AM IST

এবার যেকোনও রকম খেলায় গড়াপেটা রুখতে কড়া আইন আনার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বাল। আজ সাংবদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন খুব দ্রুত এই আইন আনতে চলেছে সরকার। এই বিষয়ে বিরোধীদের সমর্থনও আশা করেছেন তিনি। তবে চলতি গড়াপেটা কাণ্ডে বিসিসিআইয়ের তদন্তে কোনও সরকার নাক গলাবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি। 
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন তিন-চার দিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই আইনের প্রাথমিক খসড়া। এই খসড়া কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানার জন্য।
সিব্বাল জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে রাজ্য সভার বিরোধী দল নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে।
এতসব ডামডোলের মধ্যে নিজের অবস্থানে কিন্তু অনড় থাকলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনবাসন। মুম্বইয়ে আজ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন কোনও রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নন তিনি। তিনি যে মোটেও বোর্ড প্রেসিডেন্টের কুর্শি ছাড়ছেন না আজ একথাও স্পষ্ট করলেন তিনি। আইপিএলের ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছিয়েও গেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আজই সিএবি প্রধান জগমোহন ডালমিয়ার ডাকা নৈশভোজে তিনি অংশগ্রহণও করবেন বলে খবর।
অন্যদিকে, শ্রীনির জামাই তথা কাল পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসয়ের সিইও গুরুনাথ মেয়াপ্পানের ২৯ মে পর্যন্ত পুলিসি হেফাজত হয়েছে। যদিও মুম্বই পুলিস সাত দিনের জন্য মেয়াপ্পানকে পুলিসি হেফাজতে আনার দাবি জানিয়েছিল। আজ আদালতে সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়।
সুব্রত রায়, ললিত মোদীর পর এবার শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমল নাথ। আইপিএলের জঘন্য গড়াপেটা কেলেঙ্কারির পর শ্রীনিবাসনের উচিত এখনই বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়া।
তবে এখনই আইপিএল থেকে সরতে হচ্ছে না চেন্নাইকে। গতকালই মেয়াপ্পনকে চেন্নাইয়ের সিইও পদ থেকে সরিয়ে সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন শ্রীনির জামাই সুপার কিংসের শুধুমাত্র একটি সাম্মানিক পদে আসীন। তিনি মোটেও দলের কর্মকর্তা নন। দল সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারই মেয়াপ্পনের নেই বলে দাবি করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের পক্ষ থেকে। শ্রীনিবাসনের এই চাল আপাতত আইপিএল টিকিয়ে রাখছে ধোনিদের। ফলে তৃতীয়বারের জন্য আইপিএলের সামনে বর্তমানে মুম্বই ইন্ডিয়নস ছাড়া আপাতদৃষ্টিতে আর কোনও বাধা নেই। 
শ্রীনিবাসনের নির্বাসনে যাওরার সম্ভাবনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। তিনি নিজে যদি পদত্যাগ না করেন সেক্ষেত্রে সরতে হতে পারে বোর্ড সভাপতিকে। আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচের শেষেই শ্রীনির ভাগ্য নির্ধারণে বসবে বিসিসিআই।
শনিবার দুপুরে কোডাইকোনাল থেকে মুম্বই ফেরেন শ্রীনিবাসন। আজই আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে গুটি সাজাবেন তিনি। প্রথমটায় মনে করা হচ্ছিল গতরাতে গ্রেফতার হওয়া জামাই মেয়াপ্পানকে দেখা করবেন শ্রীনিবাসন। মুম্বই নেমে যে ধরনের বয়ান দিয়েছেন বোর্ড সাভাপতি, তাতে স্পষ্ট জামাইয়ের সঙ্গে দূরত্ব বজার রাখতে চাইছেন তিনি। এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, "আমার ওপর পদত্যাগের চাপ দেওয়া হয়নি।" বেটিংয়ে জামাইয়ের নাম জড়ান প্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, বিসিসিআই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।"
অন্যদিকে শ্রীনিবাসনের এই বিপদের দিনে পাশে নেই তাঁর পরিবার। নাম জড়িয়েছে তাঁর নিজের জামাইয়ের। গত দু'দিন গুরুনাথ গা-ঢাকা দিয়েছিলেন শ্রীনির কোডাকোনালের বাড়িতেই। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ছেলে অশ্বিনও। ত্যাজ্যপুত্র হওয়ায় রাগ মেটাতে মেয়াপ্পাকেই টার্গেড করেন তিনি। শ্বশুর-জামাইয়ের সম্পর্কে যে চির ধরেছিল তা খোলসা করেন অশ্বিনই।

.