ঐতিহ্যের বারপুজোয় বর্ষবরণ ময়দানে, নেই দুই প্রধানের ফুটবলাররা
কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ফুটবলাররা অবশ্য কেউ ছিলেন না রবিবারের বারপুজোয়। সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে দু'দলই। তাই আপাতত ফুটবলারদের ঠিকানা ভুবনেশ্বর।
সুখেন্দু সরকার
ময়দানে মাখামাখি স্মৃতিতে বারপুজোয় শুরু হল বাঙালির নববর্ষ। ফুটবল মানেই উত্সব। বাঙালির এই দর্শন থেকেই একদিন জন্ম হয়েছিল বারপুজোর। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পয়লা বৈশাখের পরই শুরু হত নতুন মরসুম। তার আগেই শেষ হয়ে যেত দলবদলের পালা।
প্রযুক্তির যুগে ফুটবলের সেই কক্ষপথ বদলেছে। সাবিয়েকানা ছেড়ে বাঙালি যতই আধুনিক হোক না কেন, পয়লা বৈশাখে বারপুজোর মিথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালিয়ানা। আজও ঐতিহ্য মেনেই বারপুজোয় বর্ষবরণ হল ময়দানে। কাদামাঠ থেকে স্মার্টফোনে বন্দি হয়েছে আজকের ফুটবল। সেলফিতে বন্দি আজকের বারপুজো।
আরও পড়ুন- গ্লাসগোর থেকে গোল্ড কোস্টে বেড়েছে সোনার সংখ্যা, বেড়েছে পদক সংখ্যাও
কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ফুটবলাররা অবশ্য কেউ ছিলেন না রবিবারের বারপুজোয়। সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে দু'দলই। তাই আপাতত ফুটবলারদের ঠিকানা ভুবনেশ্বর। প্রাক্তণীরা অবশ্য ছিলেন। রবিবার সকালে মোহনবাগান মাঠে বারপুজোয় তাই হাজির ক্লাবের কর্মকর্তারা। মোহনবাগানের বারপুজোয় হাজির পদত্যাগী সহসচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। রীতি মেনে পুজোর পর ঘরে বসে দফায় দফায় চলল টুটু বসুর সঙ্গে অঞ্জন মিত্র দেবাশিস দত্তদের বৈঠক। আর সেই বৈঠক থেকে বছরের প্রথম দিনে কি তবে মান-অভিমান মেটার ইঙ্গিত মিলল? সেটা অবশ্য সময় বলবে। ক্লাব তাঁবু ছেড়ে যাওয়ার আগে টুটু বসু বলে গেলেন, "আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন সচিব থাকবে অঞ্জনই।" দেবাশিস দত্ত বললেন, "সামনের মরসুমের দল ৯০ শতাংশ তৈরি।"
একই ছবি ইস্টবেঙ্গলেও। চোটের জন্য সুপার কাপে খেলতে যাননি মহম্মদ রফিককে। তিনি হাজির লাল-হলুদের বার পুজোয়। তবে নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক কে? এই প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত সরকার বলেন,"অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কেভিন লোবো, দ্বিতীয় লুই ব্যারেটো। অবশ্যই যদি দু'জনে সামনের মরসুমে থাকেন। যদি একান্তই না থাকে তাহলে সিনিয়র হিসেবে কৌশিক সরকার হবেন অধিনায়ক। এই মরসুমের ফুটবলারদের মধ্যে ১৭ জনের সঙ্গে আগামী মরসুমেও চুক্তি রয়েছে। সুভাষ ভৌমিক টিডি হিসেবে থাকছেন।" তবে কোচ হিসেবে কি খাদিল জামিল থাকছেন আগামী মরসুমে? দেবব্রত সরকার বললেন, "সেটা সময় বলবে।"
দল-বদলের গন্ধ নিয়েই ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাল ময়দান। আর বারপুজোর পরেই মরসুমের শেষ ট্রফির সন্ধানে কলকাতার দুই প্রধানের দৃষ্টি এখন আটকে রয়েছে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে।