হেডার নিষিদ্ধ
রোগবা, ক্লোজেদের জীবন কি বিপন্ন? বা আমাদের স্থানীয় লিগে রহিম নবি বা দীপেন্দু বিশ্বাসরাও কি সমস্যার মুখে? শিশির ঘোষ, সাবির আলিরাও কি খেলোয়াড়ি জীবনেই বিপন্ন করে ফেলেছেন নিজেদের ভবিষ্যতকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদল গবেষকদের গবেষনা দেখে তো সেই আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে। কেন? ফুটবল মানে পায়ের লড়াই। পায়ের জাদু দেখানোর সেরা অপেরা।
দ্রোগবা, ক্লোজেদের জীবন কি বিপন্ন? বা আমাদের স্থানীয় লিগে রহিম নবি বা দীপেন্দু বিশ্বাসরাও কি সমস্যার মুখে? শিশির ঘোষ, সাবির আলিরাও কি খেলোয়াড়ি জীবনেই বিপন্ন করে ফেলেছেন নিজেদের ভবিষ্যতকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদল গবেষকদের গবেষনা দেখে তো সেই আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে। কেন? ফুটবল মানে পায়ের লড়াই। পায়ের জাদু দেখানোর সেরা অপেরা।
আর পায়ের বলকে মাথায় তুললেই কিন্তু বিপদ। বিশ্বফুটবলে যারা সুপ্রতিষ্ঠিত হেডার বলে পরিচিত,তাদের জীবন নাকি সংশয়ে। একদল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের গবেষণার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য। দুহাজার দুই সালে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার অ্যাসলে মারা যাওয়ার পর শুরু হয় এই গবেষণা। কারণ,উনষাট বছরে অ্যাসলে মারা যাওয়ার পর দেখা যায় মস্তিষ্কের সমস্যার জন্য মৃত্যু হয়েছে অ্যাসলের। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ব্রমের প্রাক্তন এই ফুটবলার খেলোয়াড়জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হেডার বলেই পরিচিত ছিলেন। মন্টেফিওরে মেডিক্যাল সেন্টারে অ্যাসলের চিকিত্সক মাইকেল লিপ্টন জানান,ফুটবলার জীবনে হেড দেওয়ার সময় তাঁর মাথায় যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল অ্যাসলের মস্তিষ্ক।এরপরই গবেষকদের গবেষণায় বেরিয়ে আসে যে ফুটবলার যতবার বেশি হেড দেবেন, তাঁর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ততবেশি। শুধু তাই নয়,মস্তিষ্কের অসুস্থতার জন্য তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বত্রিশজন অ্যামেচার ফুটবলারকে নিয়ে শুরু হয় তাঁদের গবেষণা। তাতে বেরিয়ে এসেছে,একজন ফুটবলার যদি বছরে হাজারের বেশি হেড দেন, তবে ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের সমস্যা হতে বাধ্য। এই তথ্য সামনে আসার পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দ্রোগবা,ক্লোজে বা আটের দশকের কেইথ হাউচেনের মত বিখ্যাত হেডারদের জীবন কি বিপন্ন হতে পারে ভবিষ্যতে। এবার থেকে হেডাররা কি অনুশীলনের সময় বা খেলার সময় হাজার সংখ্যাটা গুনতে থাকবেন। একই আশঙ্কা কি থাকছে আমাদের শিশির ঘোষ বা দীপেন্দু বিশ্বাসদের ক্ষেত্রেও?উত্তর যাই হোক,একথা বলাই যায়,হেডাররা সাবধান।