সোমদেবের বোমা, "এআইটিএ অপেশদার-অনৈতিক"
ভারতীয় টেনিসে যুদ্ধের মাঝখানে `বোমা` ছুঁড়লেন সোমদেব দেববর্মন। ভারতীয় টেনিস সিঙ্গলসে এক নম্বর তারকা সোমদেব ভারতীয় টেনিস সংস্থাকে একহাত নিলেন। এআইটিএ কর্তাদের অপেশাদার আর অনৈতিক বলে অ্যাখা দিলেন সোমদেব।
ভারতীয় টেনিসে যুদ্ধের মাঝখানে `বোমা` ছুঁড়লেন সোমদেব দেববর্মন। ভারতীয় টেনিস সিঙ্গলসে এক নম্বর তারকা সোমদেব ভারতীয় টেনিস সংস্থাকে একহাত নিলেন। এআইটিএ কর্তাদের অপেশাদার আর অনৈতিক বলে অ্যাখা দিলেন সোমদেব।
প্রসঙ্গত, গতকালই সোমদেবদের বাদ দিয়ে ডেভিস কাপ দলের ঘোষণা করা হয়েছে এআইটি-এর পক্ষ থেকে। তবে এআইটি-এর এই পদক্ষেপেও বিদ্রোহীরা যে তাঁদের দাবি থেকে একচুলও সরছেন না আজকে সোমদেবের মন্তব্যে তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
গতকাল মহেশ ভূপতি, রোহন বোপান্না সহ আট বিদ্রোহীকে বাদ দিয়ে এশিয়া/ ওশেনিয়া গ্রুপ-১-এর টাই-এর জন্য ডেভিস কাপ দল ঘোষণা করেছে এআইটিএ। প্রকৃতপক্ষে আগামি এক ও তিন ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ায় ডেভিস কাপের টাইয়ের জন্য দ্বিতীয়শ্রেণীর দল পাঠাচ্ছে ভারত।
অলিম্পিকের সময় থেকেই ভূপতিদের সঙ্গে এআইটিএ-র সরাসরি বিরোধ তৈরি হয়। ভূপতি-বোপান্নার সঙ্গেই বিদ্রোহী দলে যোগ দেন য়ুকি ভামব্রি, সোমদেবের মত নবীনরাও। ডেভিস কাপের দল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আট বিদ্রোহীদের সঙ্গে এআইটিএ-এর বিরোধীতা তুঙ্গে ওঠে। সোমদেবরা ডেভিস কাপে অংশগ্রহণের শর্ত হিসাবে টেনিস কর্তাদের কাছে কয়েক দফা দাবি রাখেন। এআইটিএ বিদ্রোহীদের হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। তার মধ্যে কেউই হাজির না হওয়ায় এআইটিএ গতকাল ডেভিস কাপের জন্য দল ঘোষণা করে।
আজ মেলবোর্নে সোমদেব জানিয়েছেনে এআইটিএ-এর সিদ্ধান্তে তাঁরা হতাশ। তবে এর সঙ্গেই তিনি বলেছেন তাঁদের দাবি সম্পূর্ণ ন্যায্য। সোমদেব আজ বলেন, ``এআইটিএ আমাদের দাবি পূরণ করা নিয়ে বহু দাবি করছে। কিন্তু প্রকৃত সত্যিটা হল আমরা এখনও এআইটিএ-এর পক্ষ থেকে লিখিত কিছু পাইনি। এআইটিএ-এর অতীত ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে সহজেই বোঝা যাবে ওদের মুখের কথার উপর ভরসা করার থেকে বোকামো আর কিছু হয় না।``
ক্ষুব্ধ সোমদেব আরও বলেন ``গত ছয় জানুয়ারি আমরা ওঁদের কাছ থেকে শেষ যে ই-মেলটি পাই তার সঙ্গে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে টেনিস কর্তারা যা বলেছেন তার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এর থেকেই বোঝা যায় কি ধরণের ফেডারেশন আমাদের।``
সোমদেবের মতে খেলোয়াড়রা ন্যূনতম কিছু দাবি করেছিলেন। তাঁর মতে বিদ্রোহীরা চেয়েছিলেন এইআইটিএ পেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজঙ্ক ভাবে নাকি তাঁরা এআইটিএ-এর `এক্সেকিউটিভ বডি` বা নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগের সুযোগ টুকু পাননি।