স্পট ফিক্সিং-এ জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড ৫

আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করল ভারতীয় কিরিকেট কন্ট্রোস বোর্ড। সাসপেন্ড হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন টি সুধীন্দ্র, শলভ শ্রীবাস্তব, মনীশ মিশ্র, অমিত যাদব, অভিনব বালি। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনের পরিপ্রক্ষিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ জনকে।

Updated By: May 15, 2012, 07:53 PM IST

আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করল ভারতীয় কিরিকেট কন্ট্রোস বোর্ড। সাসপেন্ড হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন টি সুধীন্দ্র, শলভ শ্রীবাস্তব, মনীশ মিশ্র, অমিত যাদব, অভিনব বালি। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনের পরিপ্রক্ষিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ জনকে।
সোমবার স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরই মঙ্গলবার গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকের ভিত্তিতে আপাতত ১৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ জনকে। সেইসঙ্গেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিসিসিআই। কমিটির শীর্ষ রয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কর্তা রবি সায়ানি। ১৫ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। রিপোর্টে দোষী প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড।
রবিবারই, এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের `স্টিং অপরেশন`-এ আইপিল-এ স্পট ফিক্সিং এবং কালো টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। সরাসরি স্পট ফিক্সিং-এর পাশাপাশি, খেলা চলাকালীন ইচ্ছাকৃত অনিয়ম করার জন্য বিভিন্ন দল তাদের একাধিক ক্রিকেটাদের নিলামে নির্ধারিত অর্থমূল্যের থেকে বেশি টাকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে রঞ্জি ট্রফিতে সেরা বোলার  ডেকান চার্জার্সের টি পি সুধীন্দ্রকে গোপন ক্যামেরায় ঘুষ নিতে দেখা গেছে। চলতি আইপিএল-এর জন্যই এই ঘুষ কিনা তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ না মিললেও ইন্দোরের এক টি-২০ ম্যাচে নো-বল করার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাওয়ার সময় তাঁকে গোপন ক্যামেরাবন্দি করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরের আইপিএল-এ সুধীন্দ্রকে একাধিক ম্যাচে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি নো-বল করতে দেখা গিয়েছে। যদিও, চলতি মরশুমে তিনি ৪০টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের শালাভ শ্রীবাস্তবকেও গোপন ক্যামেরায় ইচ্ছাকৃত নো-বল করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা চাইতে দেখা গেছে। এমনকী তিনি দাবি করেছেন, এই কাজের জন্য মহিলাদের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও তিনি বলেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের প্রাপ্য অর্থের বাইরে বাড়তি টাকা দিয়ে থাকেন। তাঁর দাবি বাড়তি এই টাকার পুরোটাই কালো টাকা। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এবং ক্রিকেটাররা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে ক্রিকেটারদের বাড়তি টাকা দেওয়ার বিষয়টির ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেলেও স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত বক্তব্যের কোনও ভিডিও নেই। শুধুমাত্র অডিও পাওয়া গেছে।  
পুরো ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আইপিএলের স্বচ্ছতা নিয়ে। আইপিএলের মত টুর্নামেন্ট যেখানে কোটি কোটি ঢালে দেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি, সেখানে কতখানি সাদা টাকার ব্যবহার হয় তাই নিয়ে প্রশ্ন ছিল বহু দিন ধরেই। আইপিএলকে ক্রিকেটের বদলে নিছক বিনোদন হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। এরকম অবস্থায় দেশের ৫ জন উঠতি প্রতিভাবান ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ স্বাভাবিক ভাবেই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তায় আঘাত করবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

.