আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং-এর ছায়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠিন পদক্ষেপ নেবে বোর্ড, জানালেন শ্রীনিবাসন
স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগ ওঠার পরপরই বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন ভারতীয় বোর্ড কোনও রকম দুর্নীতি বা আর্থিক অনিয়ম বরদাস্ত করবে না।
স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগ ওঠার পরপরই বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন ভারতীয় বোর্ড কোনও রকম দুর্নীতি বা আর্থিক অনিয়ম বরদাস্ত করবে না। তবে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আগে ঠিক কী ঘটেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই কারণে আজই স্টিং অপেরেশনের ফুটেজ দেখবে বোর্ড। স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি নেওয়া হবে বলেও জানান শ্রীনিবাসন। এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের `স্টিং অপরেশন`-এ গোপন ক্যামেরায় বেশ কিছু আইপিএল ক্রিকেটারদের ঘুষ নেওয়ার ছবি ধরা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।
গতকালই, এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের `স্টিং অপরেশন`-এ আইপিল-এ স্পট ফিক্সিং এবং কালো টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। সরাসরি স্পট ফিক্সিং-এর পাশাপাশি, খেলা চলাকালীন ইচ্ছাকৃত অনিয়ম করার জন্য বিভিন্ন দল তাদের একাধিক ক্রিকেটাদের নিলামে নির্ধারিত অর্থমূল্যের থেকে বেশি টাকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
স্ট্রিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে ডেকান চার্জার্সের টি পি সুধীন্দ্রকে গোপন ক্যামেরায় ঘুষ নিতে দেখা গেছে। চলতি আইপিএল-এর জন্যই এই ঘুষ কিনা তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ না মিললেও ইন্দোরের এক টি-২০ ম্যাচে নো-বল করার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাওয়ার সময় তাঁকে গোপন ক্যামেরাবন্দি করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরের আইপিএল-এ সুধীন্দ্রকে একাধিক ম্যাচে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি নো-বল করতে দেখা গিয়েছে। যদিও, চলতি মরশুমে তিনি ৪০টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
কিংস একাদশ পঞ্জাবের শালাভ শ্রীবাস্তবকেও গোপন ক্যামেরায় ইচ্ছাকৃত নো-বল করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা চাইতে দেখা গেছে।
বেসরকারি চ্যানেলটি আরও দাবি করেছে যে কেবলমাত্র আইপিএল-এ নয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও স্পট ফিক্সিং-এর ঘটনা ঘটে। এই বেটিং চক্রে মহিলাদের ভূমিকা বেশ সক্রিয় বলেও জানিয়েছে তারা।