1983 World Cup: তিরাশির চল্লিশ; ফিরে দেখা রূপকথার বিশ্বকাপ, তেইশেও কী হাসি ফুটবে?
রবিবার কপিল দেবের দলের এই ঐতিহাসিক জয় ৪০ বছর পদার্পণ করেছে। লর্ডসে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে কপিল দেবের ছবি প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের স্মৃতিতে রয়েছে। এই মুহূর্ত ভারতীয়দের বহু প্রজন্মকে ক্রিকেট খেলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। সমস্ত প্রতিকূলতার বিপরীতে লড়াই করে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল, আন্ডারডগ হিসেবে খেলা শুরু করে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনাল ম্যাচে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি অত্যাশ্চর্য জয় পায় কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতীয় দল। এই জয় শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের ল্যান্ডস্কেপই বদলে দেয়নি বরং সারা দেশে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয়।
রবিবার কপিল দেবের দলের এই ঐতিহাসিক জয় ৪০ বছর পদার্পণ করেছে। লর্ডসে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে কপিল দেবের ছবি প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের স্মৃতিতে রয়েছে। এই মুহূর্ত ভারতীয়দের বহু প্রজন্মকে ক্রিকেট খেলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ভারতকে এই টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য ফেভারিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে তারা প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ বিশ্বের সেরা কয়েকটি দলকে পরাজিত করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই সময়ের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিল।
বর্তমানে, ক্রিকেট ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা, এবং ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় এখনও দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সাফল্য হিসাবে স্মরণ করা হয়।
এই জয় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। এটি বিশ্বকে দেখিয়েছিল যে ভারত একটি শক্তিশালি দল এবং বিশ্বদরবারে ভারতকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে এই জয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা শনিবার ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সঙ্গে একটি নতুন প্রচার শুরু করার জন্য দেখা করেছিলেন। 'জিতেঙ্গে হাম' উদ্যোগটি ভারতীয় দলকে ২০২৩ বিশ্বকাপে সমর্থন দেওয়ার জন্য করা হয়েছে।
বিসিসিআই প্রধান রজার বিনি জানিয়ছেন, ’১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ হওয়াটা ছিল এক অবিশ্বাস্য যাত্রা। এতে ছিল দৃঢ় সংকল্প এবং দলগত চেতনা। একসঙ্গে, আমরা আমাদের বর্তমান খেলোয়াড়দের এই কাঙ্ক্ষিত ট্রফি ফিরিয়ে আনার ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। আসুন ভক্ত হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হই এবং ইতিহাস তৈরি করতে তাদের অনুপ্রাণিত করি!"
সন্দীপ পাতিল সেমিফাইনালে ম্যাচ জয়ী অর্ধশতরান করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালের দিনেই আমার প্রয়াত মায়ের জন্মদিন ছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি তার জীবনে কখনও আমার কাছে কিছু চাননি, শুধু চেয়েছিলেন যে আমি ট্রফি জিতি। আমি নিজেকে বলেছিলাম যে বব উইলিস হোক বা তাঁর বাবা, আমি তাদের মেরে গুঁড়িয়ে দেব’।