1/12
2/12
প্রাণ
জন্ম-১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯২০
মৃত্যু-১২ জুলাই, ১৯২০
বলিউডের প্রাণ। শের খান...এইটুকু পরিচয়ই যথেষ্ট। ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেও যে এত মানুষের ভালবাসা কুড়নো যায় প্রাণ তার উদাহরণ। ভারতের প্রথম জনপ্রিয় ভিলেন প্রাণ। অসংখ্য মানুষের ভালবাসা কুড়িয়েছন জীবনভর।
অমিতাভ বচ্চনের সেরা সময়ও তাঁর থেকে বেশি পারিশ্রমিক পেতেন প্রাণ। হিরোর থেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়ার রেকর্ড ভারতের আর কোনও অভিনেতার নেই। উপকার, জঞ্জীর, অমর আকবর অ্যান্টনি প্রাণ অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
3/12
ঋতুপর্ণ ঘোষ
জন্ম-৩১ অগাস্ট, ১৯৬৩
মৃত্যু-৩০ মে, ২০১৩
হঠাত্ করেই এসেছিল মৃত্যুর খবর। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছিল একরাশ অন্ধকার। বিশ্বের দরবারে সমাদৃত পরিচালক ঋতুপর্ণ চলে গেছেন অকালে। উনিশ বছরে উনিশ ছবি তৈরি করেছেন। পেয়েছন তেরোটি জাতীয় পুরস্কার। প্রথম ছবি হিরের আংটি। শেষ ছবি সত্যন্বেষী মুক্তি পায় মৃত্যুর পর।
পরিচালনা থেকে উত্তরণ হয়েছিল অভিনয়েও। নিজের পুরুষ শরীরের ভিতরের নারী মনকে তুলে এনেছেন ছবির পর্দায়। শেষের দিকের তিনটি ছবি আর একটি প্রেমর গল্প, মেমোরিজ ইন মার্চ, চিত্রাঙ্গদায় নিজের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ছবির মধ্যে দিয়ে ধরেছেন মানুষের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক। উনিশে এপ্রিল, তিতলি, বাড়িওয়ালি, শুভ মহরত্, আবহমান, রেনকোট, দ্য লাস্ট লিয়র, খেলা প্রতিটি ছবিই স্বতন্ত্র, প্রশংসিত।
4/12
সামশাদ বেগম
জন্ম-১৪ এপ্রিল, ১৯১৯
মৃত্যু-২৩ এপ্রিল, ২০১৩
ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম প্রজন্মের নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম সামশাদ বেগম। বাংলা, মারাঠি, গুজরাতি, তামিল ও পঞ্জাবি ভাষায় বারশোর উপর গান গেয়েছেন সামশাদ বেগম। নওশাদ, এস ডি বর্মন, ও পি নায়ারের মত কিংবদন্তিদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
কভি আর কভি পার লাগা তিরে নজর, কজরা মহব্বতওয়ালা আঁখিও মে অ্যায়সা ডালা, সাঁইয়া দিল মে আনা রে-এর মত গানে জিতে নিয়েছেন বহু মানুষের হৃদয়।
5/12
শকুন্তলা দেবী
জন্ম-৪ নভেম্বর, ১৯২৯
মৃত্যু-২১ এপ্রিল, ২০১৩
আর্যভট্টের শুধু নামই শুনেছি আমরা। দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমাদের কারও। আমরা দেখেছি শকুন্তলা দেবীকে। মেন্টাল ক্যালকুলেটর, হিউম্যান কম্পিউটার অনেক নামেই ভূষিত ছিলেন তিনি। শুধু মনে মনেই কষে ফেলতেন কঠিন থেকে কঠিনতর অঙ্কের হিসেব।
শুধু হিসেব কষা নয়, সমকামিতা নিয়ে বইও লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই দ্য ওয়ার্ল্ড অফ হোমোসেক্সুয়ালস, ফর স্ট্রেটস ওনলি।
6/12
গনেশ পাইন
জন্ম-১১ জুন, ১৯৩৭
মৃত্যু-১২ মার্চ, ২০১৩
ভারতের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী গনেশ পাইন। অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্র নাথ ঠাকুর দ্বারা প্রভাবিত শিল্পী বেঙ্গল স্কুল অফ আর্টের উজ্জ্বল নাম। ছবি আঁকার মধ্যে নিজস্ব স্টাইল পোয়েটিক সুরিয়্যালিজম তৈরি করেছিলেন গনেশ পাইন। বাংলার লোকশিল্প ও পুরাণ বারবার ধরা পড়েছে তাঁর আঁকায়। প্রথম ছবি শীতের সকাল।
জলরঙ থেকে অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্সেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। ওয়াল্ট ডিজনির কার্টুন নিয়েও গবেষনা করেছেন গনেশ পাইন। সিনেমা পাগল শিল্পী অনুপ্রাণিত হয়ছেন বার্গমান, ওয়াজদা, ফেলিনি দ্বারাও। পেয়েছেন বহু পুরস্কার।
7/12
হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম-৬ নভেম্বর, ১৯২৫
মৃত্যু-৫ জানুয়ারি, ২০১৩
প্রখ্যাত অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ, ছোটপর্দা, বড়পর্দা সবক্ষেত্রেই ছিল অবাধ বিচরণ। ১৯৪৮ সালে দেবদূত ছবিতে প্রথম অভিনয়। উত্পল দত্ত, অহিন্দ্র চৌধুরী, ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করেছেন মঞ্চে। অভিনয় করেছেন মৃণাল সেন, সত্যজিত্ রায়ের ছবিতে। মহানগর, সীমাবদ্ধ, গুপি বাঘা ফিরে এল, জয়বাবা পেলুনাথ, সোনার কেল্লা তাঁর অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। আমৃত্যু অভিনয় করে গিয়েছেন। শেষ ছবি অনুরাগ বসু পরিচালিত বরফি।
8/12
9/12
বরুণ দে
জন্ম-৩০ অক্টোবর, ১৯৩২
মৃত্যু-১৬ জুলাই, ২০১৩
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বরুণ দে। অষ্টদশ ও আষ্টদশ শতকের ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের বিশ্লেষক বাংলার নবজাগরণকে নতুন ভাবে চিনিয়েছিলেন ভারতবাসীর কাছে। ১৯৩২ সালের ৩০ অক্টোবর কলকতায় জন্ম হয় বরুণ দে-র।
ইতিহাসের বিশ্লেষণের সঙ্গে সঙ্গে আরও নানাবিধ বিষয়ে সহজাত বিচরণ ছিল প্রেসিডেন্সি কলেজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বরুণ দের। আইআইএম কলকাতার প্রোস্ট গ্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম ভারতীয় ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
10/12
জগদীশ মালি
জন্ম-১৮ জানুয়ারি, ১৯৫৪
মৃত্যু-১৩ মে, ২০১৩
অভিনেতা-অভিনেত্রীর সৌন্দর্যের নেপথ্যে থাকেন যাঁরা, ক্যামেরার পিছনে থাকা সেইসব মানুষদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জগদীশ মালি। রেখা, শাবানা আজমি, অনুপম খের, ইরফান খান, নীনা গুপ্তা, মনোজ বাজপায়ী থেকে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সুন্দর হয়ে উঠেছেন তাঁর চোখে। বিখ্যাত ফটোগ্রাফার গৌতম রাজধ্যক্ষ, অশোক শৈলানের সঙ্গে একসারিতে রাখা হয় তাঁকে।
11/12
জিয়া খান
জন্ম-২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮
মৃত্যু-৩ জুন, ২০১৩
এই বছরে বলিউডের সবথেকে দুঃখজনক ঘটনা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী জিয়া খান। নিঃশব্দ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে, গজনি ছবিতে আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জিয়া।
জিয়ার মৃত্যু এক লহমায় সামনে এনে দেয় বলিউডের গ্ল্যামারের পিছনের অন্ধকার, বঞ্চনার ছবিটা। মনে করিয়ে দেয় ২০ বছর আগে দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর কথা।
12/12