আদরের ওড়না

`হোশ ওয়ালো কো খবর ক্যায়া, বেখুদি ক্যায়া চিজ হ্যায়...` মনে পড়ে সরফরোশ ছবির সেই অমর গানের দৃশ্য? সোনালি বেন্দ্রের গোলাপি ওড়নার প্রেমেই পাগল হয়েছিলেন সাহসী পুলিস অফিসার আমির খান মহাশয়। বা হেল্লো ব্রাদার ছবির রানি মুখার্জির সেই হলুদ ওড়না? যার প্রেমে পাগল পাগল দশা হয়েছিল সলমন খানের? শুধু রপোলি পর্দায় নয়। বাস্তবঘাঁটলেও ওড়নায় মন মজে প্রেমের সূত্রপাতের উদাহরণ মিলবে কাঁড়ি কাঁড়ি। ওড়না জিনিসটাই এমন। লজ্জা ঢাকার প্রয়োজনে ওড়নার আবির্ভাব হলেও সে তার সহজাত গুণে ছাপিয়ে গিয়েছে নিজেকেই। সালোয়ার-কমিজের সঙ্গে শুধু সঙ্গত করাই নয়, আজ ওড়না অন্যতম হেপ অ্যাক্সেসরিজ। এই পুজোতেও ফ্যাশন ট্রেন্ড জুড়ে ওড়নারই মনোপলি।

Updated By: Oct 7, 2013, 02:50 PM IST

প্রমা মিত্র
`হোশ ওয়ালো কো খবর ক্যায়া, বেখুদি ক্যায়া চিজ হ্যায়...` মনে পড়ে সরফরোশ ছবির সেই অমর গানের দৃশ্য? সোনালি বেন্দ্রের গোলাপি ওড়নার প্রেমেই পাগল হয়েছিলেন সাহসী পুলিস অফিসার আমির খান মহাশয়। বা হেল্লো ব্রাদার ছবির রানি মুখার্জির সেই হলুদ ওড়না? যার প্রেমে পাগল পাগল দশা হয়েছিল সলমন খানের? শুধু রপোলি পর্দায় নয়। বাস্তবঘাঁটলেও ওড়নায় মন মজে প্রেমের সূত্রপাতের উদাহরণ মিলবে কাঁড়ি কাঁড়ি। ওড়না জিনিসটাই এমন। লজ্জা ঢাকার প্রয়োজনে ওড়নার আবির্ভাব হলেও সে তার সহজাত গুণে ছাপিয়ে গিয়েছে নিজেকেই। সালোয়ার-কমিজের সঙ্গে শুধু সঙ্গত করাই নয়, আজ ওড়না অন্যতম হেপ অ্যাক্সেসরিজ। এই পুজোতেও ফ্যাশন ট্রেন্ড জুড়ে ওড়নারই মনোপলি।
সারা বছর ককটেল ড্রেস আর জিনসে মন মজে থাকলেও পুজোর সময়ে ভারতীয় হতে চান সবাই। শাড়ি পরার ঝক্কি নিতে না চাইলে বিকল্পের সন্ধানে এবারের পুজোর শীর্ষ আসনে বিরাজ করছে লম্বা ঘেরের আনারকলি। সঙ্গে অবশ্যই জমকালো কাজের ভারী ওড়না। আর যদি কাজের চাপে পুজোর শপিংটাও ঠিকঠাক সারা না হয়ে ওঠে তাহলে পুরনো কামিজের ওপরেই চাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে নতুন ডিজাইনার ওড়না। নেট, শিফন, ব্রোকেড, সিল্ক, সুতি, বাঁধনি যে কোনও ফ্যাব্রিকসের এক রং বা কাজ করা ওড়না, তুড়ি মেরে পুরনো জামাকে করে দিতে পারে নতুন।

তথাকথিত ওয়েস্টার্ন ড্রেসে স্বচ্ছন্দ তন্বীদেরও ওড়না বঞ্চিত করে না তার ভালবাসা থেকে। জিনস-কুর্তি, লং স্কার্ট-টপ, হ্যারেম প্যান্ট-স্প্যাগেটি যে কোনও কম্বিনেশনকেই ওড়নার উদারতা দিতে পারে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বোহেমিয়ান একটা লুক। শুধু গলায় কেন‌? মাথায় জড়িয়ে করে নিতে পারেন পাগড়িও। গাঁটের কড়ি খরচা না করেও শুধু একটু বুদ্ধি আর পরিশ্রমের খরচেই নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন এইসব চমকদার চুনরি। পুরনো শাড়ির আঁচল কেটে আরামসে বানিয়ে ফেলা যায় অসাধরণ সব চুনরি। শাড়ির জমি কেটে নিয়ে অন্য শাড়ির পাড়, পুরনো কানের দুল বা ব্রোচ বসিয়েও মুহূর্তে হয়ে যাবে অসাধারণ সব দোপাট্টা। এমনকী, চাইলে পুরনো ওড়নাকে রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে নতুনও করে নিতে পারেন। পছন্দ মত রঙে টাই অ্যান্ড ডাই করে স্টোন, চুমকি, জমকালো পাড় বা সেলাই-ফোঁড়াইয়ে বিশেষ দক্ষতা থাকলে করে নিতে পারেন এমব্রয়ডারিও। ব্যাস। ডিজাইনার বুটিক, দোকান, দর্জির দরবার কোনও কিছু ছাড়াই আপনার ওড়না সমস্যা সমাধান। এবারে জাস্ট জামাকাপড়ের সঙ্গে ঠিকঠাক পরে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে!

.