ছবির চিত্রনাট্য থেকে কস্টিউম, বাকিদের পরামর্শ দিতে পছন্দ করতেন না চলচ্চিত্রের মানিক

May 02, 2021, 17:28 PM IST
1/6

নিজস্ব প্রতিবেদন: একাধারে চিত্র-পরিচালক, অন্যদিকে? বলে শেষ করা যাবে না। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় 'জ্যাক অফ অল ট্রেড'। আজ শতবর্ষে বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়। পরিচালনা বলতে যা বোঝানো হয়, তাঁর বাইরে জুতো থেকে চণ্ডীপাঠ, গোটাটাই নিপুণহাতে সামলাতেন চলচ্চিত্রের মানিক।

2/6

কর্মজীবনের শুরু গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে। অনেকেরই হয়তো অজানা। হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট, কাগজ কেটে কস্টিউম সাজানো। প্রথাগত শিক্ষার প্রয়োজন পড়েনি সত্যজিতের। তাঁর তৈরি  বিভিন্ন ধরনের ক্যালিগ্রাফি ও বইয়ের প্রচ্ছদ ও সিনেমার পোস্টার ডিজাইন নজর কড়ে। পাশাপাশি রে রোমান, রে বিজার সহ বেশকয়েকটি টাইপফেস নকশাও করেন তিনি। 

3/6

দেবী সত্যজিৎ রায়ের ডিজাইন করা অন্যতম সেরা পোস্টার। যে পোস্টারের মাধ্যমে ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্র চিত্রিত হয়েছে।  পথের পাঁচালীর পোস্টারটিও বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। পথের পাঁচালীর পোস্টারে মা ও দিদি দুর্গার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় চরিত্র অপুকে। এছাড়াও মহানগর, মহাপুরুষ, গণশত্ু ছবির পোস্টারও বানিয়েছিলেন তিনি নিজেই।

4/6

চিত্রনাট্যকার সত্যজিতও ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। 'অপু ট্রিওলজি', 'কলকাতা ট্রিওলজি', 'জলসাঘর', 'অরণ্যের দিনরাত্রি' থেকে 'চারুলতা' — সত্যজিতের বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই সাহিত্যনির্ভর। তিনি নিজেই করেছেন চিত্রনাট্য। চিত্রনাট্য লেখার সময় নিজের নোট বইতে চরিত্রগুলোর স্কেচ করে রাখতেন। খাতায় থাকত নোট, স্কেচ, সেটের খুঁটিনাটি নিয়ে লেখা। 

5/6

ছায়াছবির অন্যতম উপাদান সুর ও গান। সেই উপাদানকেও অন্য কেউ নয়, যত্ন সহকারে নিজেই চলচ্চিত্রে মিশিয়েছেন সত্যজিত রায়। সুরকার হিসেবেও ছিলেন সমান দক্ষ। ১৯৬১ সালে 'তিন কন্যা' তে নিজেই সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। নিজের ছবি ছাড়াও নিত্যানন্দা দত্তর 'বাক্স বদল', জেমস আইভরির 'শেকসপিয়ারওয়ালা' ও সন্দীপ রায়ের 'ফটিকচাঁদ'-এর সংগীত পরিচালনাও করেন সত্যজিৎ। সত্যজিতের সংগীত পরিচালকের জীবনের অন্যতম বড় কাজ নিঃসন্দেহে 'গুপি গাইন বাঘা বাইন'। অনেকেই ছবিটিকে সর্বকালের সেরা বাংলা মিউজিক্যাল ছবি মনে করেন।

6/6

এছাড়াও ছবি নিজেই সম্পাদনা করেছেন সত্যজিত রায়। উত্তম কুমারকে নিয়ে বানানো 'নায়ক'-এর এডিটর ছিলেন তিনি নিজেই।