Bangladesh Durga Puja: বদলের বাংলাদেশে এবার ফতোয়ার মুখে পুজোও! আজানের আগে বাজানো যাবে না ঢাক...

Bangladesh Durga Puja: হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের হিন্দুরা একটু সতর্ক হয়ে পড়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছিল, সোজাসাপ্টা ভাষায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা বেশ খানিকটা ভয়েই আছেন সেখানে। আর এই আবহেই সেখানে দুর্গাপুজো নিয়েও একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল!

| Sep 12, 2024, 14:19 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেই আশঙ্কাই কি সত্য হল? অন্তত প্রাথমিক কারও কারও তেমনই মনে হতেও পারে হয়তো। কেননা, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দুর্গাপুজোর ঠিক আগে পুজো কমিটিগুলির উপর কিছু ফতোয়া জারি করল। সেই ফতোয়া নিয়ে একটা ক্ষোভও তৈরি হয়েছে সেখানে এক শ্রেণির হিন্দুর মনে। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে তারা তালিবানি শাসনের সঙ্গেও তুলনা করছেন!

 

1/6

ইউনূসের আশ্বাস

আসলে হাসিনা-সরকার পতনের ঠিক পরেই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের বাড়িঘর, দোকানপাট। তৈরি হয়েছিল উদ্বেগ। তবে তখনই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, হিন্দুদের ভয়ের কিছু নেই, বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গা পুজো হবে।

2/6

যথাযথ নিরাপত্তা

তবে সম্প্রতিও এ বিষয়ে হিন্দুদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চলতি সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল, প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো হবে। এব গত কয়েক বছরে পুজোমণ্ডপে হামলা চালানোর মতো যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, এবার তা এড়ানোর জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকবে।

3/6

স্বেচ্ছাসেবকই পাহারায়

জানানো হয়েছিল, দুর্গা পুজোর মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, তাঁরা মণ্ডপ পাহারা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুজোর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করা হবে।

4/6

চূড়ান্ত মনোভাব

এবার অবশ্য পুজো নিয়ে ইউনূস সরকার তাদের চূড়ান্ত মনোভাব ব্যক্ত করল। গতকাল মঙ্গলবারই পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী।

5/6

সুরক্ষার জন্য

বৈঠক শেষে জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

6/6

আজান-নমাজ

কী কী সিদ্ধান্ত? যেমন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ঢাক-ঢোল বাজানো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগে এবং নমাজ চলাকালীন মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। আজানশেষের পরে ফের বাজানো যাবে মাইক ও ঢাক-ঢোল।