'গোলন্দাজ'-এর শ্যুটিংয়ে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বেশে অন্যরকম মেজাজে দেব

Dec 05, 2020, 13:36 PM IST
1/8

ফের ময়দানে ফিরেছেন দেব, সঙ্গে টিম 'গোলন্দাজ'। প্রথম পর্যায়ে শ্যুটিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন দেব। আর তার ঠিক পরপরই শুরু হয় করোনার উপদ্রব। তাই বেশ কয়েকমাস ছবির কাজ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হল ছবির শ্যুটিং।  

2/8

ছবির শ্যুটিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর বেশে ধরা পড়লেন দেব। নগেন্দ্রপ্রসাদ আদতে ছিলেন জমিদার বাড়ির ছেলে। দেবের মেক-আপেও সেই জমিদারী স্টাইল, সঙ্গে বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।

3/8

নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য, তাঁর শরীরী ভাষা আয়ত্ত করার জন্য ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে দেবকে। সঙ্গে নিয়মিত ফুলবল খেলের অনুশীলন করতে হয়েছে। যা মোটেও সহজ কাজ নয়। 

4/8

 হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও সকাল-বিকেল সময় করে পায়ে ফুটবল নিয়ে মাঠে গিয়ে দৌড়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন। অভিজ্ঞ ফুটবলারদের কাছ থেকে রপ্ত করেছেন খেলার কৌশলও। এমনকি খালি পায়েও ফুটবল প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গায়ের রঙে সাদৃশ্য আনতে 'ট্যানড' হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, চরিত্রের প্রয়োজনে কুস্তিও শিখেছেন দেব।   

5/8

তবে শুুধু দেব নয়,  'গোলন্দাজ'-এর কাজ শুরু করেছেন অভিনেত্রী ইশা সাহা। নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারির স্ত্রী কমলিনির চরিত্রে রয়েছেন ইশা। প্রথমবার ইশার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন দেব। 

6/8

ছবিতে দেবের বাবার ভূমিকায় নাকি দেখা যাবে শ্রীকান্ত আচার্যকে। ছবিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তাঁকে দেখা যাবে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভার্গবের ভূমিকায়। দেবের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে ইশা সাহাকে। যিনি কিনা হচ্ছেন শোভাবাজারের রানি কমলিনী। 

7/8

ছবিতে জীতেন্দ্রর অভিনয় করতে দেখা যাবে ইন্দ্রাশিস রায়কে। শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজা আনন্দকৃষ্ণের ভূমিকায় পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। প্রসন্ন কুমার সর্বাধিকারীর চরিত্রে থাকছেন পরিচালক-অভিনেতা জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সূর্য কুমারের দাদা প্রসন্ন এবং নগেন্দ্রকে নিজের সন্তান স্নেহে দেখতেন। আর বিনোদের চরিত্রে অভিনয় করছেন জন ভট্টাচার্য। 

8/8

এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন বিক্রম ঘোষ। ছবির পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে পরিচালক বলেছিলেন, '' গোলন্দাজ ছবিটি বায়োপিক এক্কেবারেই নয়। আবার আমি কোনও ডকুমেন্টরিও বানাচ্ছি না। সিনেমা বানাতে গেলে সিনেমার সব শর্ত মেনেই আমি ছবিটি বানাবো। গল্পের প্রয়োজনে ওনার যতটুকু নেওয়ার, ততটুকুই নেব। সুন্দর করে একটা গল্প বলতে গেলে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই। একটা মানুষ যিনি সে সময় ছিলেন, তাঁর হাত ধরে কী কী হয়েছিল, কীভাবে তিনি কী করলেন সেই সময়টাকে ঘিরেই একটা গল্প বলার চেষ্টা করবো।''