Brain-Eating Amoeba: মস্তিষ্ক কুরে কুরে খেল বিরল অ্যামিবা! পুকুরে স্নানের ২ দিনেই 'চিরঘুমে' ১৪-র কিশোর...

Kerala boy dies of Brain-Eating Amoeba: মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ! মৃত্যু হার ৯৫-১০০ শতাংশ! উপসর্গ কী? সংক্রমণের কতদিন পর রোগের বহিঃপ্রকাশ? এই 'মারণ' রোগের চিকিৎসা কী? 

Jul 04, 2024, 16:33 PM IST
1/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুকুরে স্নান করেছিল বছর চোদ্দোর কিশোর। আর সেটাই ডেকে আনল প্রাণঘাতী বিপদ। মস্তিষ্ক কুরে কুরে খেল বিরল অ্যামিবা! মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়ল ১৪ বছরের কিশোর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায়। জানা গিয়েছে, অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস-এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। পুকুরে স্নানের দুদিনের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে পড়ে ওই কিশোর। 

2/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই কিশোর একটি ছোটো পুকুরে স্নান করেছিল। সেই পুকুরে সাঁতার কাটার সময়ই তাঁর সংক্রমণ হয়। সাধারণত দূষিত জলে এক ধরনের 'স্বাধীন' অ্যামিবা পাওয়া যায়। যার সংক্রমণেই অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস হয়ে থাকে। শরীরে প্রবেশের পর বিরল এই অ্যামিবা ওই কিশোরের মস্তিষ্ক কুরে কুরে খেতে শুরু করে। আর তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর। শেষে কেরালার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

3/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

নায়গ্লেরিয়া ফাওলেরি নামে এক ধরনের অ্যামিবার সংক্রমের ফলে অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস হয়ে থাকে। নদী বা লেকের দূষিত জলে বা মাটিতে এই ধরনের অ্যামিবা থাকে। স্নান করা বা সাঁতার কাটার সময় নাক দিয়ে শরীরের ভিতর ঢুকে যায় ওই অ্যামিবা। তারপর সোজা গিয়ে মস্তিষ্কের টিস্যুকে আক্রমণ করে। যার জেরে মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়। 

4/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

নায়গ্লেরিয়া ফাওলেরির সংক্রমণে মাথা ব্যথা হয়। জ্বর আসে। ঝিমুনি ভাব হয়। বমি হয়। মানসিক স্থিতিও নষ্ট হয়। এখনও পর্যন্ত অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস-এর সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সাধারণত অ্যাম্ফোটেরিসিন বি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ফ্লুকোনাজোল, রিফামপিন, মিলতেফোসাইন ও ডেকসামেথাসোন দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। 

5/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

সাধারণত সংক্রমণের ১ থেকে ১৮ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। আর একবার উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর শারীরিক অবস্থা খুব দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। কখনও কখনও কোমায় চলে যায়। এমনকি মাত্র ৫ দিনের মধ্যে মৃত্য়ু হতে পারে রোগীর।  

6/6

মস্তিষ্কে অ্যামিবার সংক্রমণ!

Brain-Eating Amoeba

প্রসঙ্গত, মে মাস থেকে শুরু করে এটি তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ২১ মে মালাপ্পুরমে ৫ বছরের এক মেয়ের মৃত্যু হয় একইরকম সংক্রমণে। ওদিকে ২৫ জুন কান্নুরে মৃত্যু হয় ১৩ বছরের এক কিশোরীরও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এই রোগে মৃত্যুর হাত ৯৫-১০০ শতাংশ। ভয়ংকরভাবে প্রাণঘাতী এই সংক্রমণ।