মারাঠি ভাযায় কথা বলেননি দোকানদার! ২০ ঘণ্টা ধরে দোকানের বাইরে ধর্নায় লেখিকা

শোভা দেশপাণ্ডের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জুগিয়েছে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। 

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Oct 9, 2020, 05:14 PM IST
মারাঠি ভাযায় কথা বলেননি দোকানদার! ২০ ঘণ্টা ধরে দোকানের বাইরে ধর্নায় লেখিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলা ভাষার দুঃসময় চলছে। বাংলা ভাষা বাঁচাতে হলে সমস্ত বাঙালিকে এগিয়ে আসতে হবে। এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু বাংলা ভাষা রক্ষায় আপামর বাঙালি কি সত্যিই এগিয়ে আসছে! মারাঠি ভাষা রক্ষার জন্য কিন্তু মহারাষ্ট্রের লোক যথেষ্ট তৎপর হয়ে উঠেছেন। মারাঠি লেখিকা শোভা দেশপাণ্ডে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কোলাবায় একটি গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন কানের দুল কেনার জন্য। দোকানদার তাঁর সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথা বলতে অস্বীকার করেন। তারপরই সভা দেশপান্ডে সেই দোকানের বাইরে ফুটপাতে কুড়ি ঘন্টা ধরে ধর্না দিতে শুরু করেন। এই ঘটনা গোটা মহারাষ্ট্রকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শোভা দেশপান্ডে প্রশ্ন তুলেছেন, মহারাষ্ট্রের রাজধানীতে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন ওই দোকানদার।তাই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের জন্য তাঁর মারাঠি ভাষা জানাটা কি আবশ্যক নয়?

শোভা দেশপাণ্ডের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জুগিয়েছে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। তারা আবার হুমকি দিয়েছে, যতদিন পর্যন্ত ওই দোকানের মালিক মারাঠি ভাষা পুরোপুরি রপ্ত করবেন, ততদিন তিনি ওই দোকান খুলতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, শোভা দেশপান্ডে ওই দোকানে গিয়ে দোকানদার শঙ্করলাল জৈনের সঙ্গে মারাঠি ভাষায় কথোপকথন শুরু করেন। শঙ্করলাল শুরু থেকেই তাঁর সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলছিলেন। কিন্তু শোভা দেশপান্ডে তাতে রাজি হননি। এরপরই শঙ্করলাল জানিয়ে দেন, তিনি শোভাকে সোনার দুল বিক্রি করবেন না। এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মারাঠি লেখিকাকে দোকান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তারপরই বচসা শুরু হয়। শোভা দেশপান্ডে ওই দোকানদারের কাছে লাইসেন্স দেখতে চান। কিন্তু দোকানদার পাল্টা প্রশ্ন করেন, লাইসেন্স দেখার এক্তিয়ার কি তাঁর আছে?

আরও পড়ুন-  রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত খুনের ঘটনায় রাজনীতি শুরু! গ্রেফতার এক

শোভা দেশপাণ্ডেকে পুলিস মেডিকেল চেক আপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। তবে মারাঠি লেখিকা অভিযোগ করেছেন, পুলিস ঘটনাস্থলে আসার পরও ওই দোকানদারের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এতে তাঁর কোনো ভুল নেই। মহারাষ্ট্রে জীবিকা নির্বাহ করতে হলে মারাঠি ভাষা জানাটা আবশ্যক। তাছাড়া সেই দোকানদার তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলেই দোকানের বাইরে তিনি ধরনায় বসে ছিলেন বলে দাবি করেছেন।

.